সোমবার ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে শ্রিংলা বলেন, “আমি এনিয়ে কোনো মন্তব্য করতে পারব না, সরি।”
পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হকের সঙ্গে এক বৈঠকের পর বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকরা শেখ হাসিনার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইছিল ভারতের হাই কমিশনারের কাছে।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা গত ১১ মার্চ যুব মহিলা লীগের সম্মেলনে বলেছিলেন, গ্যাস রপ্তানিতে তিনি রাজি হননি বলে ২০০১ সালে ‘র’ ও যুক্তরাষ্ট্রের যোগসাজশে তার দলকে ভোটে হারানো হয়েছিল।
তখন ‘র’ এর ঢাকা স্টেশন প্রধান খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয় ‘হাওয়া ভবনে’ যাতায়াত করতেন বলেও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে সব সময় আলোচিত ভারতের বিষয়ে ওই বক্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছে।
তার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে পাল্টা বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে ভারতের প্রভাবেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে আছে।
ভারতে দ্বিপক্ষীয় সফরের এক মাস আগে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ নিয়ে শেখ হাসিনার বক্তব্য এল।
দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভবনে হাসিনাকে নিমন্ত্রণ
আগামী মাসে ভারত সফরে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা, সফরের সময় দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভবনে থাকতে তাকে নিমন্ত্রণ জানিয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রপ্রধান প্রণব মুখার্জি।
২০১৪ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর এটাই শেখ হাসিনার প্রথম ভারত সফর। ২০১৫ সালে নরেন্দ্র মোদী সফরে করে যাওয়ার পর শেখ হাসিনার এই সফর বেশ কিছু দিন ধরে ঝুলে ছিল।
তিন দিনের সফরে আগামী ৭ এপ্রিল শেখ হাসিনা নয়া দিল্লি রওনা হবেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তবে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা আসেনি।
পররাষ্ট্র সচিব শহীদুলের সঙ্গে বৈঠকের পর হাই কমিশনার শ্রিংলা বাংলাদেশের সরকার প্রধানকে তার দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের নিমন্ত্রণের কথা সাংবাদিকদের জানান।
তিনি বলেন, “এটা বেশ ব্যতিক্রমী। কারণ কোনো সরকার প্রধান সাধারণত রাষ্ট্রপতি ভবনে থাকেন না।”
স্ত্রীর সূত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে আত্মীয়তার সম্পর্কে জড়ানো পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি প্রণব মুখার্জির সঙ্গে শেখ হাসিনার রাজনীতিক বন্ধন বহু আগের।
শেখ হাসিনার সফরকে ভারত ‘সর্বোচ্চ গুরুত্ব’ দিচ্ছে বলে জানান শ্রিংলা।
ঢাকার প্রত্যাশিত তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি এই সফরে হবে কি না- সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি সরাসরি উত্তর এড়িয়ে বলেন, “সব কিছু ঠিকঠাকভাবে এগিয়ে চলছে। আমাদের দেখতে হবে কী সম্ভব, আর কী সম্ভব নয়।”
“আমরা আশা করছি, তার এই সফর ফলপ্রসূ হবে,” বলেন ভারতের হাই কমিশনার।