রোববার রাত সোয়া ২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে ঢাকা রেলওয়ে থানার এসআই মো. রাশেদ রানা জানান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, দুর্ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে তিনজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, “আনুমানিক ৪২ বছর বয়সী এক ব্যক্তি মারা গেছেন। তার নাম স্বপন বলে শোনা যাচ্ছে। তিনি সম্ভবত পথচারী ছিলেন।”
আহতদের মধ্যে একজন তমা কনস্ট্রাকশনসের প্রকৌশলী পলাশ; অন্যজনের নাম নুরুন্নবী। তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে বাচ্চু মিয়া জানান।
ওই এলাকার বাসিন্দা সাংবাদিক আশফাকুর রহমান ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “একটি গার্ডার তোলার জন্য নিচে রাখা ছিল। রিলোকেট করার জন্য উপরে বসানো আরেকটি গার্ডারের দুই পাশের জোড়া খোলা হচ্ছিল গ্যাস কাটার দিয়ে। এক পাশ কেটে ফেলার পর পুরো গার্ডারটি নিচে পড়ে যায়।”
এদিকে গার্ডার পড়ে রেললাইন আটকে যাওয়ায় রাত সোয়া ২টা থেকে ঢাকার সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা বেলাল হোসেন জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তাদের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করেন। পরে তিন ঘণ্টার চেষ্টায় গার্ডারের একটি অংশ কেটে সরিয়ে নেওয়া হলে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
সোমবার ভোর সোয়া ৬টা থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হলেও বেশ কিছু ট্রেন বিলম্বিত হয়েছে বলে রেলওয়ে থানার এসআই রাশেদ রানা জানান।