মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার সেগুন বাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এই তেল বিপণন সংস্থার এমডিকে।
দুদকের সহকারী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম এই দুর্নীতির অনুসন্ধান চালাচ্ছেন। তা তদারক করছেন পরিচালক এ কে এম জায়েদ হোসেন খান।
জায়েদ সাংবাদিকদের বলেন, আবুল খায়েরের বিরুদ্ধে গত বছর তারা বেশ কয়েকটি অভিযোগ পান। সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল।
এছাড়া নিয়োগে অনিয়ম এবং দরপত্র ছাড়াই জ্বালানি তেল পরিবহনে ঠিকাদার নিয়োগের বিষয়েও অভিযোগ এসেছে পদ্মা অয়েলের এমডির বিরুদ্ধে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জায়েদ খান বলেন, “আমরা কিছুটা সন্দেহ করছি যে তার (আবুল খায়ের) বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যেতে পারে। তবে যেহেতু এখনও আমরা অনুসন্ধান রিপোর্ট পাইনি, সেহেতু নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।”
রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানির এমডির বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চালাতে গিয়ে কোনো ধরনের চাপ অনুভব করছেন কি না- প্রশ্ন করা হলে দুদকের এই পরিচালক বলেন, “আমরা আমাদের স্বাভাবিক নিয়মে অনুসন্ধান করছি, কোনো চাপ নেই।”
জিজ্ঞাসাবাদে আবুল খায়ের দাবি করেছেন, তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ, সেগুলো সঠিক নয়, তিনি তার কাজ সঠিক নিয়মে করেছেন।
বিজ্ঞপ্তি ও পরীক্ষা ছাড়া নিয়োগ প্রদান, কোম্পানির ডিপো নির্মাণে দুর্নীতি, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আবুল খায়েরেরে বিরুদ্ধে দুদকের আরও তিনটি মামলা রয়েছে।