মঙ্গলবার মামলার অভিযোগ গঠনের তারিখ ছিল। কিন্তু অসুস্থতার জন্য খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতির কারণ দেখিয়ে তার পক্ষে সময় চাওয়া হয়।
শুনানি নিয়ে ঢাকার নয় নম্বর বিশেষ জজ আমিনুল ইসলাম ১৪ মার্চ পরবর্তী দিন রাখেন।
এ নিয়ে ১৩ দফা পেছালো শুনানির দিন। এর আগে এ মামলায় ২০১৫ সালের ২৮ ডিসেম্বর, গতবছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি, ১২ এপ্রিল, ৭ জুন, ১১ জুন, ১০ অগাস্ট, ১৬ অগাস্ট, ২১ অগাস্ট, ২ অক্টোবর, ১৬ নভেম্বর , ১৫ ডিসেম্বর এবং এ বছরের ২ ফেব্রুয়ারি শুনানি পিছিয়ে যায় খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিসহ আসামিদের পক্ষে হাই কোর্টে দাখিল করা বিভিন্ন আবেদন শুনানির অপেক্ষায় থাকার কারণে।
এদিকে মামলার অন্যতম আসামি মওদুদ আহমদের পক্ষে হাই কোর্ট আট সপ্তাহের জন্য মামলার সকল কার্যক্রম স্থগিত করেছে-এমন আবেদন দাখিল করা হলে বিচারক তা বিবেচনায় নিয়েছেন বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান তার আইনজীবী খায়রুল কবীর।
সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় খালেদা জিয়া গ্রেপ্তার হওয়ার পর ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় এই মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
পরের বছর ৫ মে বিএনপি চেয়ারপারসনসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোপত্রে বলা হয়,ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর হাতে ‘তুলে দেওয়ার’ মাধ্যমে আসামিরা রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতি করেছেন।