মিউনিখের বাইরিশার হফ হোটেলের কনফারেন্স হলে স্থানীয় সময় শুক্রবার দুপুরে নিরাপত্তা সম্মেলনের উদ্বোধন করেন চেয়ারম্যান ভুল্ফগ্যাং ইশিংগার। ২০০৮ সাল থেকে এই কনফারেন্সের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছেন তিনি।
বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানসহ সাড়ে চারশ প্রতিনিধি এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী, পোল্যান্ড ও আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট, যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস-প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস এবং রাশিয়া, চীন, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
১৯৬৩ সালে মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সের যাত্রা শরু হয়। স্নায়ুযুদ্ধের পটভূমিতে তৈরি হলেও পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে এই সম্মেলনে বিশ্ব নিরাপত্তা ও বিভিন্ন পরিবর্তনের প্রেক্ষিত নিয়ে আলোচনা হয়ে থাকে।
এবারই প্রথম বাংলাদেশের কোনো রাষ্ট্র বা সরকার প্রধান এই সম্মেলনে যোগ দিলেন।
সম্মেলনে অংশ নেওয়া রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সম্মানে রাতে মিউনিখের মেয়রের দেওয়া নৈশভোজে অংশ নেবেন শেখ হাসিনা।
স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল ৬টায় প্রধানমন্ত্রী মিউনিখ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে জার্মনিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইমতিয়াজ আহমেদ তাকে স্বাগত জানান। এসময় প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর বিশেষ নিরাপত্তায় মিউনিখ ম্যারিয়ট হোটেলে পৌঁছালে জার্মান প্রবাসী আওয়ামী লীগ এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা দলীয় নেতা-কর্মীরা শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান।
জার্মানিতে দুই দিনের এই সফরে সিকিউরিটি কনফারেন্সে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মেরকেলের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা।
সফরের দ্বিতীয় দিন শনিবার আঙ্গেলা মেরকেলের সঙ্গে শেখ হাসিনার বৈঠক হবে। এরপর জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দেওয়া মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। পরে একটি প্যানেল আলোচনায় তার অংশ নেওয়ার কথা।
সফরসঙ্গী হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী, মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক, স্বরাষ্ট্র সচিব কামালউদ্দিন আহমেদ ও প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।