মশার কামড়ে সারারাত ঘুমাতে পারেননি সাংসদ বাদল

ঢাকায় মশার উপদ্রব বাড়ার কথা তুলে ধরে মইন উদ্দীন খান বাদল সংসদে বলেছেন, মশার কামড়ে সারারাত ঘুমাতে পারেননি তিনি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Feb 2017, 04:53 PM
Updated : 16 Feb 2017, 05:01 PM

মশা মারতে ওষুধ ব্যবহার করেও কাজ হয়নি জানিয়ে এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়েছেন জাসদের এই সংসদ সদস্য।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় কুড়িগ্রামের সাংসদ রুহুল আমিন তার এলাকায় বন্য হাতির উৎপাতের কথা বললেও রাজধানীতে মশার যন্ত্রণা তুলে ধরেন বাদল।

কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সাংসদ রুহুল আমিন বলেন, প্রতি সন্ধ্যায় ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী- বিএসএফ সীমান্তের গেট খুলে দিলে ৭০–৮০টি হাতি নেমে আসে এবং বাংলাদেশের সীমানায় ঢুকে ফসলাদির ক্ষয়ক্ষতি ও ঘরবাড়ি ভাংচুর করে।

হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ক্ষতিপূরণ দাবি করে তিনি বলেন, “আমি তাণ্ডবলীলা দেখেছি। এলাকার মানুষ আতঙ্কে রয়েছেন।”

তার এই বক্তব্যের পর মইন উদ্দীন খান বাদল বলেন, “আমাদের একজন সাংসদ বড় প্রাণির কথা বলেছেন, যার আসা–যাওয়ায় কোনো সমস্যা নেই। এসে আমাদের এখানে সমস্যা সৃষ্টি করছে। তবে আমি বলব ক্ষুদ্র প্রাণি মশাকে নিয়ে। মশার কামড়ে সারারাত ঘুমাতে পারিনি।”

তিনি বলেন, “এসিআই নামক একটি কোম্পানি মশার ওষুধ তৈরি করে, কিন্তু তাদের ওষুধে মশা মরে না।

“আমি দেখলাম যতবার ওষুধটা দেই মশা কিছু সময়ের জন্য নির্জীব হয়ে যায়, কিছুক্ষণ পর আবারও কামড়াতে থাকে। পরবর্তীতে শুনলাম আরও অনেকের অভিজ্ঞতা একই রকম। এসিআই খুব নাম করা কোম্পানি। তাদের ওষুধের যদি মশা মারার ক্ষমতা না থাকে, তাহলে এই ওষুধ বাজার থেকে প্রত্যাহার করা উচিত।”

এ বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বাদল বলেন, “আমি বিষয়টি সংসদের নজরে আনলাম। কিন্তু এখানে শিল্পমন্ত্রীও নেই, বাণিজ্যমন্ত্রীও নেই। এসিআইয়ের এই মশার ওষুধ পরীক্ষামূলকভাবে তারা নিজেরা ব্যবহার করে দেখতে পারেন।”

অনির্ধারিত আলোচনায় জাতীয় পার্টির নুরুল ইসলাম মিলন বলেন, “একদিনে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫০ জন নিহত হয়েছেন। পরের দিন আরও ২৫ জন। ঢাকা থেকে কুমিল্লা যাওয়ার সময় দেখি গাড়িগুলো এমনভাবে ওভারটেক করে যেন এখনই দুর্ঘটনা ঘটে যাবে। জীবনের কোনো নিশ্চয়তা নেই। সারা দেশে একই অবস্থা।”

এ সংক্রান্ত আইন সংস্কারের দাবি করে তিনি বলেন, “জাতীয় পার্টির সময়ে আইন করা হয়েছিল। কিন্তু আন্দোলন করে তা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। এখন যে আইন রয়েছে তার প্রয়োগ নেই। সরকারের দুইজন মন্ত্রী রয়েছেন তারা গাড়ি চালকদের সভাপতি ও সম্পাদক। তারা কী এর দিকে দৃষ্টি দেবেন না?”

আওয়ামী লীগের সাংসদ আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী বিদেশে কর্মসংস্থানের নামে নারী পাচারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

৩৫ বছরের আগে কোনো নারী কর্মী যাতে বিদেশে যেতে না পারে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।