নতুন ইসির শপথ

ব‌্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে থেকে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন আয়োজনের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করার শপথ নিলেন নতুন নির্বাচন কমিশনের সদস‌্যরা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Feb 2017, 09:50 AM
Updated : 15 Feb 2017, 01:27 PM

সাবেক সচিব কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস‌্যের এই কমিশনের অধীনেই আগামী পাঁচ বছর জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের সব ভোট হবে। ২০১৯ সালের শুরুতে তাদের অধীনেই হবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।

নূরুল হুদার এই ইসিতে কমিশনার হিসেবে রয়েছেন সাবেক সচিব রফিকুল ইসলাম, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব তালুকদার, অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ কবিতা খানম ও অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদৎ হোসেন চৌধুরী।

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বুধবার বিকালে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে তাদের শপথ পড়ান।

সিইসি নূরুল হুদাসহ নতুন কমিশনের সদস‌্যরা বেলা ২ টা ৫০ এর মধ‌্যেই জাজেস লাউঞ্জে পৌঁছে যান। প্রধান বিচারপতি আসেন বিকাল ঠিক ৩টায়।

বাংলাদেশের দ্বাদশ সিইসি হিসেবে প্রথমে শপথ নেন কে এম নূরুল হুদা। তিনি শপথনামায় সই করার পর প্রধান বিচারপতি তাকে অভিনন্দন জানান।

এরপর একইভাবে একে একে মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও শাহাদৎ হোসেন চৌধুরী প্রধান বিচারপতির কাছ থেকে শপথ নেন।

সিইসি ও নির্বাচন কমিশনারের শপথ

আমি সশ্রদ্ধ চিত্তে শপথ বা দৃঢ় ঘোষণা করছি যে, আমি আইন অনুযায়ী ও বিশ্বস্ততার সঙ্গে আমার পদের কর্তব্য পালন করব; আমি বাংলাদেশের প্রতি অকৃত্রিম বিশ্বাস ও আনুগত্য পোষণ করব; আমি সংবিধানের রক্ষণ, সমর্থন ও নিরাপত্তা বিধান করব এবং আমার সরকারি কার্য ও সরকারি সিদ্ধান্ত ব্যক্তিগত স্বার্থের দ্বারা প্রভাবিত হতে দেব না।

শপথ পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম। নতুন ইসি গঠনের জন‌্য সার্চ কমিটির নেতৃত্ব দেওয়া বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ছাড়াও আপিল বিভাগের বিচারক এবং সুপ্রিম কোর্ট, নির্বাচন কমিশন ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন এ অনুষ্ঠানে।

নির্বাচন কমিশন এই প্রথম একজনকে সিইসি হিসেবে পেল যিনি সরকারি চাকরিতে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর। দেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম ইসি পেয়েছে একজন নারী কমিশনার।

সার্চ কমিটির দেওয়া ১০টি নামের সুপারিশ থেকে গত সপ্তাহে এই পাঁচজনকেই নতুন ইসির জন‌্য নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ওই রাতেই প্রজ্ঞাপন জারি করে।

কে এম নূরুল হুদার নতুন কমিশনের প্রতি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও তাদের জোট শরিকরা ‘আস্থা’ রাখলেও বিএনপি ও সমমনা দলগুলো ‘হতাশা’ প্রকাশ করেছে।

বিরোধী দল জাতীয় পার্টি স্বাগত জানিয়েছে নতুন কমিশনকে। আর সিপিবি বলেছে, তারা নতুন কমিশনের কাজ দেখার অপেক্ষায়।

রাজনীতির অঙ্গনে আস্থা-অনাস্থার আলোচনার মধ‌্যেই শপথ অনুষ্ঠান শেষে সরাসরি আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনে গিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেন নতুন কমিশনের পাঁচ সদস‌্য।

নির্বাচন ভবনের লনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সিইসি নূরুল হুদা বলেন, নিরপেক্ষতার সঙ্গে কাজ করে তার মাধ‌্যমেই সব রাজনৈত্কি দলের আস্থা অর্জনে আশাবাদী তিনি।