জনতার মঞ্চে ছিলাম না: নূরুল হুদা

নিজেকে নিয়ে বিএনপির সমালোচনাকে আমলে নিচ্ছেন না হবু সিইসি কে এম নুরুল হুদা; একে ‘রাজনৈতিক কৌশলগত’ কথা হিসেবেই দেখছেন তিনি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Feb 2017, 04:08 PM
Updated : 8 Feb 2017, 04:28 PM

নূরুল হুদাকে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগের পর মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি প্রশাসনে থাকাকালে তার ভূমিকা তুলে ধরে তার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

বিএনপির বক্তব‌্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে নূরুল হুদা বুধবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যারা রাজনীতি করে বা কোনো রাজনৈতিক দল যে বক্তব্য দিচ্ছে, তা পলিটিক্যাল স্ট্রাটেজিক বক্তব্য। এ নিয়ে আমার বলার কিছু নেই।”

নিরপেক্ষতা নিয়ে আগাম প্রশ্ন তুলে দশম সংসদ নির্বাচন বর্জনকারী বিএনপি ইসিকে চাপে রাখার কৌশল নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস‌্য মোহাম্মদ নাসিম।

২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার পর যুগ্ম সচিব নূরুল হুদাকে বাধ‌্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছিল, যা অবৈধ বলে পরে আদালতের রায় হয়। এরপর ভূতাপেক্ষ কার্যকারিতায় সচিব হয়ে অবসর নেন তিনি; তখন ক্ষমতায় ছিল আওয়ামী লীগ।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের আন্দোলনের সময় ঢাকায় গঠিত জনতার মঞ্চে যোগ দেওয়া প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মধ‌্যে নূরুল হুদাও ছিলেন বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

নূরুল হুদা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত হয়ে সরকারি চাকরি বিধি লঙ্ঘন করেছিলেন দাবি করে ফখরুল বলেন, “আমরা মনে করি, একজন বিতর্কিত সাবেক সরকারি কর্মকর্তার নেতৃত্বে গঠিত কোনো প্রতিষ্ঠান নির্মোহভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবে না।”

নতুন সিইসি কে এম নুরুল হুদা

নিজের ওই সময়ের অবস্থান ব‌্যাখ‌্যা করে নূরুল হুদা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি কুমিল্লার জেলা প্রশাসক ছিলাম, জনতার মঞ্চে আমি কখনোই ছিলাম না। এ নিয়ে বিতর্কের অবকাশ নেই।”

আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি শপথ নিয়ে কাজে যোগ দেওয়ার পরই সাংবিধানিক দায়িত্বটি পালনে মনোযোগ দিতে চান বলে জানিয়েছেন নূরুল হুদা।

চার নির্বাচন কমিশনারদের মধ্যে পরস্পর যোগাযোগ হচ্ছে। মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে কোথাও বসে পরিচিত হওয়ার প্রাথমিক পরিকল্পনা থাকলেও তা পরে বাদ দেন হবু সিইসি।

তিনি বলেন, “সবাইকে তো আমি মোটামুটি জানি। তবুও বসার একটা পরিকল্পনা থাকলেও তা বাদ দেওয়া হয়েছে। যোগাযোগ হয়েছে অন্যদের সঙ্গে। এখন তো কোনো কাজ হচ্ছে না, শপথ নেওয়ার পরই বসলে চলবে।”

নতুন একজন নতুন নির্বাচন কমিশনার জানান, দুপুরে হবু সিইসির উত্তরার বাসায় গিয়ে কথোপকথন সেরেছেন তিনি।

আরেকজন কমিশনার জানান, ফোনে যোগাযোগ হয়েছে।