সোমবার বিকাল ৪টার পর সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে এ বৈঠক শুরু হয়। আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটির সবাই উপস্থিত আছেন এ বৈঠকে।
নতুন ইসি গঠনের জন্য ২৫ জানুয়ারি সার্চ কমিটি গঠনের পর এটি কমিটির চতুর্থ বৈঠক। এ বৈঠক শেষ করেই সার্চ কমিটির প্রতিবেদন ও সুপারিশ নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাত করবেন সার্চ কমিটির সদস্যরা।
সার্চ কমিটি প্রথমে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে থেকে নামের প্রস্তাব নিয়েছিল। এরপর গত ৩০ জানুয়ারি ১২ জন ও ১ ফেব্রুয়ারি আরও চারজন বিশিষ্ট নাগরিকের সঙ্গে বসে নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়ে মতামত নেন তারা; তৈরি হয় ২০টি নামের সংক্ষিপ্ত তালিকা।
এ কমিটির সদস্য মহাহিসাব নিরীক্ষক মাসুদ আহমেদ রোববার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বৈঠকে আমরা প্রস্তাবিত ১০ জনের নাম চূড়ান্ত করার চেষ্টা করব। প্রতিটি শূন্য পদের বিপরীতে দুজন করে ১০ জনের নাম সুপারিশ করব।”
সার্চ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেওয়া মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বৈঠকে সুপারিশ চূড়ান্ত হলে তা কালই দেওয়া হতে পারে। তবে সব কিছু বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হবে।”
নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির কাছে সার্চ কমিটি ১০ জনের যে তালিকা প্রস্তাব করবে, তা প্রকাশের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। ওই তালিকা প্রকাশ করা হবে কিনা- সে সিদ্ধান্তও সোমবারের বৈঠকে হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে সার্চ কমিটির অপর সদস্যরা হলেন- হাই কোর্ট বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক, কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের (সিএজি) মাসুদ আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য শিরীণ আখতার।
সিইসিসহ ৫ সদস্যের নির্বাচন কমিশনের জন্য প্রতিটি পদে দুই জন করে ১০ জনের নাম চূড়ান্ত করে সুপারিশ করবে এই সার্চ কমিটি।
ওই সুপারিশের মধ্যে থেকে একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যূন পাঁচ সদস্যের নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দেবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
কাজী রকিব উদ্দিন আহমদ নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি দায়িত্ব নেবে নতুন কমিশন। তাদের অধীনেই ২০১৯ সালের শুরুতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে।