বুধবার সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে চার বিশিষ্ট নাগরিকের সঙ্গে সার্চ কমিটির মতবিনিময়ের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও বিধি) আব্দুল ওয়াদুদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় এই জাজেস লাউঞ্জেই আবার বসবেন সার্চ কমিটির ছয় সদস্য।
“আজ যে চারজনের সঙ্গে মত বিনিময় হয়েছে, তারা বলেছেন, যেসব ব্যক্তির ক্লিন ইমেজ আছে, প্রশাসনিক দক্ষতা আছে, দায়িত্ব পালনের জন্য শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা আছে এবং যারা চাপের মুখে মাথা নত করবেন না- এমন ব্যক্তিদদের নির্বাচন কমিশনে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
সাবেক সিইসি মোহাম্মদ আবু হেনা, সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম ও আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদের সঙ্গে বেলা ১১টা থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টা এদিন আলোচনা করেন সার্চ কমিটির সদস্যরা।
এর আগে গত সোমবার ১২ বিশিষ্ট নাগরিকের সঙ্গে বসে নির্বাচন কমিশন গঠন বিষয়ে তাদের মতামত নেয় সার্চ কমিটি। আর মঙ্গলবার রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে পাওয়া নাম বাছাই করে ২০ জনের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করা হয়।
এই কমিটিকে সাচিবিক সহায়তার দায়িত্বে থাকা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, “কাল আবার (সার্চ কমিটি) বসবেন। যেসব নাম এসেছে আরও যাচাই বাছাই করবেন। প্রয়োজনে আরও সংযোজন বিয়োজন করবেন।”
আরও যাচাই-বাছাইয়ের পর ২০ জনের তালিকা থেকে দশজনকে চূড়ান্ত করবে সার্চ কমিটি। সেই দশজনের নাম ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রস্তাব করা হবে রাষ্ট্রপতির কাছে।
সার্চ কমিটির ওই সুপারিশের মধ্যে থেকে একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যূন পাঁচ সদস্যের নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দেবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, “আশা করছি, আট তারিখের মধ্যেই সার্চ কমিটির যেটা দায়িত্ব, সেটা চূড়ান্ত করা যাবে।”
কাজী রকিব উদ্দিন আহমদ নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি দায়িত্ব নেবে নতুন কমিশন। তাদের অধীনেই ২০১৯ সালের শুরুতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে।