ক্ষমতা ভোগ করতেই সরকারে নয়, প্রমাণ করেছি: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের উন্নয়নে জন্য তার সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের তথ্য তুলে ধরে নবনির্বাচিত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানদেরকেও একইভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Jan 2017, 07:02 AM
Updated : 11 Jan 2017, 07:39 AM

বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তার কার্যালয়ে শপথ নেন প্রথমবারের মতো ভোটে নির্বাচিত ৫৯ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।

পরে নতুন চেয়ারম্যানদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে শেখ হাসিনা তাদেরকে ‘সততা ও নিষ্ঠার’ সঙ্গে  দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন “আমি চাই সততা, নিষ্ঠা, একাগ্রতার সাথে আপনারা স্ব-স্ব দায়িত্ব পালন করবেন। আমাদের মূল্য লক্ষ্যটা হবে মানুষের সেবা করা।”

সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সরকারপ্রধান জনগণের জন্য কাজ করার কথা মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, “সরকার শুধু নিজেদের ক্ষমতা ভোগ করতে আসে না সেটা আমরা প্রমাণ করেছি।

“আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলব। কিন্তু এদেশের মানুষ যদি ক্ষুধার্ত ও অশিক্ষিত থাকে, তারা যদি রোগে ধুঁকে ধুঁকে মারা যায়, তাহলে সোনার বাংলাদেশ গড়া কখনই সম্ভব না।”

দেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এর সুফল দেশের মানুষ পাচ্ছে।”

প্রতিটি উন্নয়ন কাজ যাতে ‘সঠিকভাবে’ বাস্তবায়িত হয় এবং পাশাপাশি সমস্যাগুলো খুঁজে বের করতে নতুন চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেন তিনি।

জেলা পরিষদের ক্ষমতার পরিধি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ইতোমধ্যে আমরা বেশকিছু কাজ উপজেলা পরিষদে হস্তান্তর করেছি। জেলা পরিষদের হাতেও যথেষ্ট ক্ষমতা থাকে মানুষের সেবা নিশ্চিত করার এবং স্ব-স্ব জেলার সার্বিক উন্নয়নের।”

শপথ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য, দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

জেলা পরিষদের সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্যরা আগামী ১৮ জানুয়ারি ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শপথ নেবেন বলে স্থানীয় সরকার সচিব আবদুল মালেক জানিয়েছেন।

তিন পার্বত্য জেলা বাদে দেশের ৬১ জেলায় গত ২৮ ডিসেম্বর প্রথমবারের মত নির্বাচনের আয়োজন করা হলেও আদালতের আদেশে কুষ্টিয়া ও বগুড়ায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন আটকে যায়।

বিএনপি ও জাতীয় পার্টির বর্জনে চেয়ারম্যান পদে ক্ষমতাসীন দল মনোনীত ২১ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন ভোটের আগেই। ভোটের দিন আওয়ামী লীগ ও তাদের বিদ্রোহীরা জেতেন ৩৮ জেলায়।

প্রতি জেলায় একজন করে চেয়ারম্যান, ১৫ জন সাধারণ সদস্য ও পাঁচজন সংরক্ষিত সদস্য নির্বাচিত হন এ নির্বাচনে।