আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব শুরু ২৪ জানুয়ারি

‘ফ্রেমে ফ্রেমে আগামীর স্বপ্ন’ স্লোগান নিয়ে আগামী ২৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে যাচ্ছে সাত দিনব্যাপী দশম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Jan 2017, 04:28 PM
Updated : 10 Jan 2017, 04:28 PM

মঙ্গলবার রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলন করে উৎসবের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে আয়োজক সংস্থা চিলড্রেনস ফিল্ম সোসাইটি।

এতে জানানো হয়, ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত সাত দিনব্যাপী এই উৎসব রাজধানী ঢাকার পাশাপাশি একইসঙ্গে চলবে রাজশাহী, রংপুর, বরিশাল, সিলেট, খুলনা, টাঙ্গাইল ও জয়পুরহাটে।

এছাড়া উৎসবের চট্টগ্রাম পর্বের আয়োজন হবে আগামী ৩ ও ৪ ফেব্রুয়ারি।

ঢাকায় মূল উৎসব ও উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির শওকত ওসমান মিলনায়তনে। ২৪ জানুয়ারি বিকাল ৪টায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের উৎসব উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।

এছাড়া জাতীয় জাদুঘর, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, আঁলিয়স ফ্রঁসেজ, ব্রিটিশ কাউন্সিল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।

এ বছর উৎসবে সারা দেশে মোট ১১টি ভেন্যুতে ৫৪টি দেশের দুই শতাধিক শিশুতোষ চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।

সব প্রদর্শনী অভিভাবকসহ শিশু-কিশোরদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। উদ্বোধনী দিন ছাড়া প্রতিদিন বেলা ১১টা, দুপুর ২টা, বিকাল ৪টা ও সন্ধ্যা ৬টায় মোট চারটি করে প্রদর্শনী হবে।

অন্যান্য বছরের মত এবারও থাকছে বাংলাদেশি শিশুদের নির্মিত চলচ্চিত্র নিয়ে উৎসবের অন্যতম আকর্ষণীয় ‘প্রতিযোগিতা’ পর্বটি, যেখানে নির্বাচিত ২১টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।

‘ইয়াং বাংলাদেশি ট্যালেন্ট’ বিভাগে ১৯ থেকে ২৫ বছর বয়সী তরুণ নির্মাতারা অংশ নেবেন। এছাড়াও থাকবে ‘সোশ্যাল ফিল্ম’ বিভাগ, আবহাওয়া ও জলবায়ু নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র নিয়ে একটি প্রতিযোগিতা।

আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা বিভাগে উৎসব কমিটি দ্বারা মনোনীত বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের মোট ২০টি চলচ্চিত্র অংশ নেবে। এই প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে থাকবেন ভারতের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ডিজাইনের শিক্ষক শেখর মুখার্জি, চলচ্চিত্রকার অমিতাভ রেজা চৌধুরী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক সাবরিনা সুলতানা চৌধুরী।

উৎসবের উদ্বোধনীতে অর্থমন্ত্রী মুহিত ছাড়াও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করবেন উৎসব উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান মুস্তাফা মনোয়ার।

উৎসব আয়োজনে সহায়তা করছে এটুআই, ব্রিটিশ কাউন্সিল, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, আঁলিয়স ফ্রঁসেজ, জার্মান কালচার সেন্টার, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় এবং সময় টিভি।

অনলাইন মার্কেটিং পার্টনার হিসেবে কাজ করবে হুতুম নামে একটি সংগঠন এবং রেডিও পার্টনার হিসেবে থাকবে রেডিও নেক্সট।

উৎসবের শেষদিন ৩০ জানুয়ারি বিকাল ৫টায় শাহবাগের কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরিতে উৎসবের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হওয়ার কথা রয়েছে।