সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা পাওয়ায় গোলযোগহীন ভোট করা গেছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ।
নিজেদের মেয়াদের শেষ নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে বর্তমান ইসির ব্যাপক তৎপরতা ছিল। বৃহস্পতিবার কোনো ধরনের সহিংসতা ছাড়াই ভোটগ্রহণ শেষে ইসি কর্মকর্তাদের মধ্যে ছিল স্বস্তির ভাব।
বিকাল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে ইসি সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সামনে আসেন সিইসি কাজী রকিব।
“আল্লাহর অসীম রহমতে কোনো মারামারি হয়নি।”
দলীয় প্রতীকের এই নির্বাচনের ভোটচিত্রে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী সন্তোষ জানিয়েছেন। বিএনপির প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খানও সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ করেননি; তিনি শুধু বলেছেন, প্রভাব বিস্তারের কারণে কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা কম বলে মনে হচ্ছে তার।
সহিংস ইউনিয়ন ও পৌর নির্বাচনের পর নারায়ণগঞ্জ নগরীর ভোটচিত্রে সন্তোষ জানিয়েছেন পর্যবেক্ষকরাও। তারা বলছেন- প্রার্থী, দল, ভোটার, আইন শৃঙ্খলাবাহিনী ও সরকারের সহায়তা-এ পাঁচটি একসূত্রে কাজ করায় ভোট ভালো হয়েছে।
সিইসি বলেন, “জায়গাটা (নারায়ণগঞ্জ) আয়তনে ছোট, ইজি একসেসেবল। ইসির মতবিনিময়ে প্রার্থীরা সবাই বলেছিল, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন করব।
“প্রার্থী এবং সমর্থকরা সহযোগিতা করেছিল। রাজনৈতিক দল, প্রার্থী ও সমর্থকরা সহযোগিতা করলে সহিংসতা ঘটার কোনো সম্ভাবনা থাকে না।”
সিইসি জানান, ১৭৪ কেন্দ্রের নারায়ণগঞ্জে আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে তিনজনকে ৮ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া বড় ধরনের কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
ভোটের ফল মেনে নেবেন বলে ইতোমধ্যে দুই প্রধান মেয়র প্রার্থী জানিয়েছেন। এই নির্বাচনের মতো পরবর্তী নির্বাচনেও সবাই জনগণের রায় মেনে নেবে বলে আশা প্রকাশ করেন বিদায়ী সিইসি কাজী রকিব।
তিনি জানান, ভোটের আগের দুই দিন ও ভোটের দিনের মতো পরের একদিনও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তৎপর থাকতে বলা হয়েছে।
“তাদের নির্দেশ দেওয়া আছে সব দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখতে এবং শৈথিল্য না দেখাতে। কেউ যাতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে না পারে। যারা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে, তাদের দুষ্কৃতিকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। তারা শাস্তির আওতায় আসবে।”
ইসির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে সিইসির সঙ্গে ছিলেন নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক, মো আবু হাফিজ, মো জাবেদ আলী ও ইসি সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ।