প্রধানমন্ত্রীর বিমানে ত্রুটি: সাত কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

প্রধানমন্ত্রীর বিমানে ত্রুটির ঘটনায় মামলা হওয়ার দুই দিনের মাথায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সাত কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Dec 2016, 04:03 AM
Updated : 9 June 2019, 02:03 PM

ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান বৃহস্পতিবার সকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য জানান।

গ্রেপ্তাররা হলেন- বিমানের চিফ ইঞ্জিনিয়ার (প্রোডাকশন) দেবেশ চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত চিফ ইঞ্জিনিয়ার (পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ) এস এ সিদ্দিক, ভারপ্রাপ্ত মুখ্য প্রকৌশলী (এনসিসি) বিল্লাল হোসেন, প্রকৌশলী কর্মকর্তা লুৎফর রহমান, সামিউল হক, মিলন চন্দ্র বিশ্বাস, জাকির হোসাইন।

বিমানের এই কর্মকর্তাদের বুধবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে মাসুদুর রহমান জানান।

তিনি বলেন, এ মামলার আসামি জুনিয়র টেকনিশিয়ান মো. সিদ্দিকুর রহমান ও প্রকৌশলী কর্মকর্তা এস এম রোকনুজ্জামানকে এখনও গ্রেপ্তার করা যায়নি।

গত ২৭ নভেম্বর হাঙ্গেরি যাওয়ার পথে শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তুর্কমেনিস্তানের আশখাবাত বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণে বাধ্য হয়। মেরামত শেষে প্রায় ৪ ঘণ্টা পর হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে উড়োজাহাজটি।

উড়োজাহাজের ইঞ্জিন অয়েলের ট্যাংকের একটি নাট ঢিলে থাকায় ওই বিপত্তি ঘটে। এর পেছনে নাশকতা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে বিমান মন্ত্রণালয়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ তিনটি তদন্ত কমিটি করে।

ত্রুটির কারণে জরুরি অবতরণের পর তুর্কমেনিস্তানের আশখাবাত বিমানবন্দরে বিমানের বোয়িং উড়োজাহাজটি

প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে ঘটনার তিন দিনের মাথায় এস এম রোকনুজ্জামান, সামিউল হক, মিলন চন্দ্র বিশ্বাস, লুৎফুর রহমান, জাকির হোসাইন ও টেকনিশিয়ান সিদ্দিকুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

পরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের তদন্ত কমিটির চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দেবেশ চৌধুরী, এস এ সিদ্দিক ও বিল্লাল হোসেন সাময়িক বরখাস্ত হন।

এরপর মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় বরখাস্ত নয়জনকে আসামি করে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫ (গ) ধারায় মামলা করেন বিমানের পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট) এমএম আসাদুজ্জামান।

মামলার এজাহারে বলা হয়, বিভাগীয় তদন্তে ওই নয়জনের বিরুদ্ধে “পরস্পর যোগসাজশে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে যন্ত্রপাতি নিয়া অবহেলামূলক আচরণ করতঃ অন্তর্ঘাতমূলক কার্যক্রম করার” প্রমাণ পাওয়া গেছে।

ঢাকার মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির মাহমুদ চৌধুরী আগামী ১২ জানুয়ারি মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ঠিক করে দিয়েছেন।