ঘটনার সাড়ে তিন মাস পর বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে ‘অজ্ঞাত’ হিসেবে লাশগুলো আঞ্জুমানকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নারায়ণগঞ্জে পুলিশের অভিযানে নিহত তিনজনের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।”
“আজিমপুর ও মিরপুরের রূপনগরে নিহত দুই জঙ্গির লাশও মর্গে আছে,” বলেন তিনি।
আঞ্জুমানের কর্মকর্তা রুহুল আমিন জানান, পুলিশের একজন কর্মকর্তা দুপুর আড়াইটার দিকে তিনটি মৃতদেহ হস্তান্তর করেছেন। লাশগুলো জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হবে।”
এর আগে গুলশান ও কল্যাণপুরে নিহত জঙ্গিসহ কয়েকজন জঙ্গির লাশ আঞ্জুমানের মাধ্যমে জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
গত ২৭ অগাস্ট নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ার একটি বাড়িতে পুলিশের অভিযানে নিহত হন তিনজন।
ওই সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নিহতদের একজনকে তামিম চৌধুরী এবং আরেকজনকে যশোরের কলেজ ছাত্র ফজলে রাব্বি বলা হয়। নিহত তৃতীয়জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
নভেম্বরের শুরুর দিকে পুলিশ ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তামিমের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার কথা জানায়।
গত ৯ নভেম্বর মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) মো. মাসুদুর রহমান বলেন,“অভিযানের পর তামিম,তার বাবা ও বোনের ডিএনএ নমুনা পরীক্ষার জন্য কানাডা পাঠানো হয়েছিল। পরীক্ষায় বাবা ও বোনের ডিএনএর সঙ্গে তার নমুনা মিলে গেছে। নিশ্চিত হওয়া গেছে উনিই তামিম চৌধুরী।”
১ জুলাই গুলশান ও এক সপ্তাহের মাথায় শোলাকিয়ায় হামলার পর ঘরছাড়া তরুণদের জড়িত থাকার তথ্য প্রকাশের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিখোঁজ ১০ জনের যে প্রথম তালিকা দিয়েছিল, তাতে সিলেটের তামিমের নাম এসেছিল।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের বিভিন্ন প্রকাশনার উপর ভিত্তি করে তাকে সংগঠনটির বাংলাদেশ শাখার সমন্বয়ক বলা হচ্ছিল আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে তামিমকে ‘নব্য জেএমবি’র শীর্ষনেতা বলা হচ্ছিল।