মওদুদের নাইকো মামলা: ১৯ জানুয়ারির মধ্যে রুল নিষ্পত্তির নির্দেশ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদের নাইকো দুর্নীতি মামলায় হাই কোর্টের জারি করা রুল ১৯ জানুয়ারির মধ্যে নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দিয়েছে আপিল বিভাগ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Dec 2016, 06:34 AM
Updated : 11 Dec 2016, 06:51 AM

জরুরি অবস্থার সময় দায়ের করা এ মামলার কার্যক্রম স্থগিত রাখতে মওদুদের আবেদন খারিজের যে আদেশ জজ আদালত দিয়েছে, তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছে হাই কোর্টের ওই রুলে।

এই রুল দেওয়ার পাশাপাশি মওদুদের বিরুদ্ধে এ মামলার কার্যক্রম আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে গত ১ ডিসেম্বর আদেশ দেয় বিচারপতি শেখ আব্দুল আউয়াল ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাই কোর্ট বেঞ্চ।

দুর্নীতি দমন কমিশন ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করলে রোববার প্রধান বিচারপতি নেতৃত্বাধীন চার বিচারকের আপিল বেঞ্চ হাই কোর্টে রুল নিষ্পত্তি করতে সময় বেঁধে দেয়। 

আদালতে মওদুদ নিজেই নিজের বক্তব‌্য তুলে ধরেন। তার সঙ্গে ছিলেন আবদুল্লাহ আল মাহমুদ। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

মওদুদের সহযোগী আইনজীবী আদেশের পর বলেন, আপিল বিভাগ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে ১৯ জানুয়ারির মধ্যে ওই রুলের নিষ্পত্তি করতে বলেছে।

“এই আদেশের ফলে মওদুদের বিরুদ্ধে মামলায় কার্যক্রম ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত থাকছে।”

সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় এই মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পরের বছর ৫ মে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, তখনকার আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমদসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোপত্রে বলা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর হাতে ‘তুলে দেওয়ার’ মাধ্যমে তারা রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতি করেছেন।

খালেদা জিয়াসহ অন‌্য আসমিদের বিরুদ্ধে এ মামলার বিচারিক কার্যক্রম চলছে ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে। সেখানে ১৫ ডিসেম্বর অভিযোগ গঠনের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে সালিশি আদালতে পেট্রোবাংলা ও বাপেক্সের সঙ্গে নাইকোর চুক্তি ও দুর্নীতি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে একটি মামলা চলছে জানিয়ে মওদুদ তার নাইকো মামলার কার্যক্রম স্থগিতের জন‌্য আবেদন করলে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত গত ১৬ অগাস্ট তা খারিজ করে দেয়।

এরপর তিনি হাই কোর্টে আবেদন করেন এবং মামলার কার্যক্রমের ওপর আট সপ্তাহের স্থগিতাদেশ পান।

মামলাটির অন‌্য আসামিরা হলেন- সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।