রোববার কমিশনের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ইসি সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।
তিনি বলেন, “নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন উপলক্ষে এলাকায় উৎসবমুখর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আশা করছি, নারায়ণগঞ্জবাসী ও জাতি একটি ভালো নির্বাচন দেখবে। ভালো নির্বাচন করার জন্যে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
আসছে ২২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় এ নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী দিয়েছে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ আটটি দল। তবে সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে নির্দলীয়ভাবে ভোট হবে।
প্রতীক বরাদ্দের পর ৫ ডিসেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার শুরু করতে পারবেন প্রার্থীরা।
বিএনপির প্রার্থী এ নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্বে সেনা মোতায়েনের দাবি জানালেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী বলেছেন, তার প্রয়োজন নেই।
ইসি সচিব বলছেন, ১৪ ডিসেম্বর শেরেবাংলা নগরে এনইসি মিলনায়তনে আইন-শৃঙ্খলা বৈঠকে সব দিক পর্যালোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তিনি জানান, নির্বাচনী এলাকায় বৈধ অস্ত্র জমা দেওয়া, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও ‘ধর্মীয় সংখ্যালঘু’ সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ‘যথাসময়ে’ কার্যক্রম নেবেন।
‘প্রধানমন্ত্রীর আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়নি’
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও সাংসদরা ঘরোয়া বৈঠকে অংশ নেওয়ায় আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়নি বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব আব্দুল্লাহ।
এ বিষয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, “এতে আচরণবিধি লঙ্ঘন হওয়ার কথা নয়। রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে ঘরোয়া মিটিং করতেই পারে। এটা তো নির্বাচনী এলাকায় হয়নি। নির্বাচনী এলাকায় মন্ত্রী-এমপিরা এ ধরনের বৈঠক করতে পারবেন না, প্রচার চালাতে পারবেন না।”
নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীসহ স্থানীয় নেতাদের নিয়ে গত ২২ নভেম্বর গণভবনে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি আইভীকে মেয়র পদে বিজয়ী করতে দলীয় নেতাদের কাজ করার নির্দেশ দেন বলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের জানান।
বিএনপির প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খান পরদিন অভিযোগ করেন, সরকারি বাড়িতে ওই বৈঠক করে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন ঘটিয়েছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব জানান, খালেদা জিয়া দলীয় প্রধান হলেও সংসদ সদস্য না হওয়ায় ভোটের প্রচারে অংশ নিতে তার কোনো বাধা থাকছে না।
“তিনি (খালেদা) সরকারি সুবিধাভোগী ব্যক্তি না। এ আচারণবিধি তার জন্য অন্তরায় নয়।”
তবে বিধি অনুযায়ী, নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিয়ে কোনো জনসভা, মিছিল, সমাবেশ করার সুযোগ নেই। শুধু পথসভা আর প্রশাসন ও পুলিশের অনুমতি নিয়ে ঘরোয়া সভা করা যাবে।
অন্যদের মধ্যে অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান ও ইটিআই মহাপরিচালক খন্দকার মিজানুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।