শনিবার এই বিপ্লবী নেতার মৃত্যু সংবাদ জানার পরপরই রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোকবার্তা পাঠিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতায় তার অবদান শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
একাত্তরে মুক্তিকামী বাঙালিদের পক্ষে দাঁড়ানো ফিদেল কাস্ত্রোকে বাংলাদেশ সরকার ২০১৩ সালে ‘মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননায়’ ভূষিত করে।
শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, “ফিদেল কাস্ত্রোর মৃত্যু বিশ্ব রাজনীতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। শোষিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তার সংগ্রামের কথা বিশ্ববাসী আজীবন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।”
রাষ্ট্রপতি শোক বার্তায় কিউবার জনগণ ও সরকারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।
৯০ বছর বয়সে শনিবার মারা যান সমাজতান্ত্রিক কিউবার প্রতিষ্ঠাতা ফিদেল কাস্ত্রো।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল কমিউনিস্ট নেতা ফিদেল কাস্ত্রোর। ১৯৭৩ সালে আলজিয়ার্সে জোট নিরপেক্ষ জোটের সম্মেলনে বৈঠক হয়েছিল তাদের।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাবার সঙ্গে কিউবার এই নেতার সম্পর্কের কথা স্মরণ করে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ফিদেলের অবদানের কথাও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।
“আমি হিমালয় দেখিনি, কিন্তু শেখ মুজিবকে দেখেছি”- বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে ফিদেল কাস্ত্রোর করা এ মন্তব্যও শোকবার্তায় উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, “দুই নেতার মধ্যে ব্যতিক্রমী ঘনিষ্ঠতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধা দুই দেশকে পারস্পরিক সহযোগিতা, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে আরও কাছে এনেছিল।”
একাত্তরে ফিদেল কাস্ত্রোর অবদান স্মরণ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও।
এক শোকবার্তায় বলেন, বাংলাদেশের মানুষের কাছে ফিদেল কাস্ত্রো চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
“বিশ্বের শোষিত-বঞ্চিত মানুষের অধিকারের পক্ষে ফিদেল কাস্ত্রো ছিলেন এক আন্তর্জাতিক উচ্চস্বর। একাত্তরে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে কিউবার অবিসংবাদিত নেতা ফিদেল কাস্ত্রোর অবদানের কথা বাংলাদেশিরা চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে মনে রাখবে।”
জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের অন্যতম নেতা হিসেবেও ফিদেল কাস্ত্রোকে স্মরণ করেন খালেদা।
“আদর্শনিষ্ঠ, দৃঢ়চেতা ও তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর প্রতি অত্যন্ত সহমর্মী এই মানুষটির সাথে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের গভীর সম্পর্ক ছিল।”
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিবিসহ অন্য বাম দলগুলোও কিউবার বিপ্লবী নেতার মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছে।