শুক্রবার বিটিআরসি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. ফয়জুর রহমান চৌধুরী এ দাবি করেন।
তিনি বলেন, “অবৈধ ভিওআইপি বাড়ছে এ নিয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ এসেছে, যা সঠিক বা তথ্যভিত্তিক নয়।”
তারানা হালিমকে নিয়ে গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদনের বিষয়ে তিনি বলেন, “প্রতিমন্ত্রীর এই নিউজটা আসার পর প্রতিমন্ত্রী একটি প্রতিবাদ দিয়েছেন এবং ওই নিউজটিও তথ্যভিত্তিক নয়। এসব নিউজ তথ্যভিত্তিক নয় বলেই এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।”
মানবজমিন, আমাদের সময় ও ইনডিপেনডেন্টও একই ধরনের প্রতিদেন প্রকাশ করেছে গত এক সপ্তাহের মধ্যে।
সমকাল পরে তাদের প্রতিবেদন নিয়ে প্রতিমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়াও ছেপেছে। সেখানে তারানা হালিম বলেছেন, যারা ‘অসন্তুষ্ট’ তারাই গুঞ্জন ছড়াচ্ছে।
‘অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা বন্ধে ব্যর্থ তারানা হালিম’ শিরোনামে মানবজমিনে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিষয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ বলেন, সেখানে বিটিআরসির সূত্রের কথা বারবার বলা হলেও তিনি বা তার সচিব ওই ধরনের কোনো তথ্য সংবাদমাধ্যমকে বলেননি।
‘তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশ না করায়’ পত্রিকাগুলোতে প্রতিবাদ পাঠানো বা কোনো আইনি প্রক্রিয়া নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে টেলিকম সচিব বলেন, “বিষয়গুলো তথ্যভিত্তিক নয় এটা জানানোর জন্যই এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।”
তিনি বলেন, কোনো অপারেটরটের তাদের সিম ব্যবহার করে ভিওআইপি করলে ‘অতীতে ছাড় দেওয়া হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না’।
“ভুল আমাদের হতেই পারে, ভুল সংশোধন করে সেবা নিশ্চিত করতে পারলে আমাদের সফলতা। আজকের সংবাদ সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য হল- আপনারা অবশ্যই সঠিক ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশ করবেন,” বলেন সচিব।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, “এটি (অবৈধ ভিওআইপি) সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা যাবে না, কিছু না কিছু থাকবেই। তবে আগের থেকে অনেক কমিয়েছি, আরও কমে যাবে।
অন্যদের মধ্যে বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান আহসান হাবিব খান, কমিশনার ও মহাপরিচালকরা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।