গত ৮ অক্টোবর আশুলিয়ার একটি বাড়িতে জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের সময় পাঁচ তলা ওই ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে সারোয়ার নিহত হন বলে র্যাব জানিয়েছিল।
এরপর থেকে তার লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে ছিল। কোনো দাবিদার না থাকায় ময়নাতদন্তের পর লাশ রাখা ছিল হিমঘরে।
র্যাবের মুখপাত্র মুফতি মাহমুদ খান মঙ্গলবার দুপুরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মর্গ থেকে র্যাব লাশটি বুঝে নিয়ে আঞ্জুমানে মুফিদুল ইসলামের কাছে দিয়েছে। তারা লাশটি জুরাইনে দাফন করবে।”
ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদ বলেন, র্যাব লাশটি বুঝে নেবে বলে ঢাকা মেডিকেল কলেজকে চিঠি দিয়েছিল। সেই আবেদনে মঙ্গলবার লাশটি র্যাবকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের কাকরাইলের প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে তারা লাশটি বুঝে নিয়েছেন। লাশ নিয়ে জুরাইনের উদ্দেশে রওনা হয়েছে তাদের গাড়ি।
বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে সারোয়ারকে দাফন করা হয় বলে জানান আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের মুগদা কার্যালয়ের কর্মকর্তা মো. শাহাবুদ্দিন।
এর আগে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে এবং কল্যাণপুরের আস্তানায় নিহত জঙ্গিদেরও জুরাইন কবরস্থানে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছিল।
গত ৮ অক্টোবর পড়ার পর নিহতের নাম আব্দুর রহমান বলে জানানো হয়েছিল। পরে র্যাব জানায়, তার নাম সারোয়ার জাহান এবং তিনি নব্য জেএমবির শীর্ষনেতা ও প্রধান অর্থ জোগানদাতা।
তবে তাতে দ্বিমত জানায় পুলিশ। পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম দাবি করেন, সারোয়ার আসলে তামিম চৌধুরী নেতৃত্বাধীন ‘নব্য জেএমবির তৃতীয় সারির নেতা ছিলেন।
আশুলিয়ায় অভিযানের সময় র্যাব সারোয়ারের স্ত্রী শাহনাজ আখতার রুহি (২৯) তার পালিত কন্যা এবং দুই ছেলেকেও আটক করে। তাদের কাছে ৩০ লাখ টাকা ও বিস্ফোরক পাওয়া যায় বলেও দাবি করে র্যাব।