কুনিও হোশি হত্যার বিচার শুরু

রংপুরে জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি হত্যা মামলায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সাত সদস‌্যের বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে আদালত।

রংপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Nov 2016, 09:11 AM
Updated : 15 Nov 2016, 09:12 AM

রংপুরের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকার মঙ্গলবার এ মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ‌্য শুরুর জন‌্য আগামী ৪ জানুয়ারি দিন রাখেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বিশেষ পিপি রথীশ চন্দ্র ভৌমিক জানান, এ মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আট আসামির মধ্যে কারাগারে থাকা জেএমবির রংপুর অঞ্চলের কমান্ডার মাসুদ রানা ওরফে মামুন, ইছাহাক আলী, লিটন মিয়া, আবু সাঈদ ও সাখাওয়াত হোসেনকে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন‌্য এদিন আদালতে হাজির করা হয়।

তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে আদালতের কাছে সুবিচার চান।   

বাকি তিন আসামির মধ‌্যে আহসান উল্লাহ আনসারী ও সাদ্দাম হোসেন পলাতক রয়েছেন।

আর নজরুল ইসলাম ওরফে বাইক নজরুল ওরফে বাইক হাসান গত ২ অগাস্ট ভোরে রাজশাহীর মতিহার থানার আশরাফের মোড় এলাকায় পুলিশের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন।

২০১৫ সালের ৩ অক্টোবর কাউনিয়া উপজেলার সারাই ইউনিয়নের আলুটারি গ্রামে ৬৬ বছর বয়সি জাপানি নাগরিক কুনিও হোশিকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

ঢাকায় ইতালীয় নাগরিক চেজারে তাভেল্লা হতাকাণ্ডের পর একই কায়দায় রংপুরে এই জাপানি নাগরিকের হত‌্যাকাণ্ড সে সময় আন্তর্জাতিক গণমাধ‌্যমেও আলোড়ন তোলে।

প্রায় নয় মাস তদন্তের পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউনিয়া থানার ওসি আব্দুল কাদের জিলানী গত ৩ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দেন। তাতে আটজনকে আসামি করা হয় এবং গ্রেপ্তার ছয়জনকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করা হয়।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, কুনিও হোশিকে লক্ষ্য করে পর পর তিনটি গুলি করেন জেএমবির আঞ্চলিক কমান্ডার মাসুদ রানা। মোটর সাইকেলে তারা তিনজন ছিলেন। গুলি করার পর মোটর সাইকেলে করে তারা পালিয়ে যান। ঘটনাস্থলেই মারা যান ৬৬ বছর বয়সী কুনিও।  

ঘটনার পরপর আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএস এর দায় স্বীকার করলেও সরকার তা নাকচ করে।

এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে পুলিশ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছিল। তারা হলেন কুনিওর ব্যবসায়িক সহযোগী হুমায়ুন কবির হীরা, রংপুর মহানগর বিএনপির সদস্য রাশেদ-উন-নবী খান বিপ্লব, রংপুর মহানগর যুবদলের সদস্য রাজীব হাসান সুমন ওরফে মেরিল সুমন, নওশাদ হোসেন রুবেল ওরফে ব্ল্যাক রুবেল, বিজয় দাশ এবং রংপুর নগরীর শালবন মিস্ত্রিপাড়ার কাজল চন্দ্র বর্মণ ওরফে ভরসা কাজল।

অভিযোগপত্রে নাম না আসায় আদালত গত ৭ অগাস্ট তাদের অব‌্যাহতি দিয়ে পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।