হত‌্যার আগে নিলয়-দীপনকে ‘নিয়মিত অনুসরণ করা হয়’

ব্লগার নিলাদ্রী চট্টোপাধ‌্যায় নিলয় ও জাগৃতি’র প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যায় জড়িত সন্দেহে আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের এক সদস‌্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Nov 2016, 05:05 PM
Updated : 12 Nov 2016, 07:44 PM

গ্রেপ্তার খায়রুল ইসলাম (২৬) ওরফে জামিল আনসারুল্লাহ’র গোয়েন্দা শাখার প্রধান ছিলেন বলে পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন।

মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, শুক্রবার মধ্যরাতে কমলাপুর রেল স্টেশন এলাকা থেকে খায়রুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিলয় ও দীপন হত্যাকাণ্ডে ‘সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন’ তিনি।

তিনি বলেন, খায়রুল ২০১৪ সাল থেকে আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের সঙ্গে জড়িত।

“হত্যাকাণ্ডের আগে খায়রুল তাদের (নিলয়- দীপন) বাসা, অফিস শনাক্তসহ নিয়মিত অনুসরণ করে তা তার সংগঠনের সামরিক শাখায় প্রদান করত।”

গত বছর বইমেলা চলাকালে টিএসসিতে কুপিয়ে হত‌্যা করা হয় মুক্তমনা লেখক-ব্লগার অভিজিৎ রায়কে। এরপর কয়েক মাসের ব‌্যবধানে আরও কয়্জেন ব্লগার-লেখককে হত‌্যা করা হয়।

এরইমধ‌্যে গত বছরের ৭ অগাস্ট দুপুরে নিলয়কে বাসাবোর ভাড়া বাসায় ঢুকে কুপিয়ে হত্যা করে চলে যায় ঘাতকরা। ওই বছর ৩১ অক্টোবর আজিজ সুপার মার্কেটে জাগৃতি প্রকাশনীর কার্যালয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় দীপনকে, যিনি অভিজিৎ রায়ের বইয়ের প্রকাশক ছিলেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেনসহ কর্মকর্তারা

গোয়েন্দা কর্মকর্তা বাতেন বলছেন, খায়রুলের দেওয়া তথ‌্যের ভিত্তিতে ওই দুজনকে হত‌্যার ‘পরিকল্পনা করা হয়’। বরখাস্ত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হকের নির্দেশে এই হত‌্যাকাণ্ড ঘটে। জিয়াউল এই জঙ্গি গোষ্ঠীর সামরিক কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করছেন।

“গত ২৬ সেপ্টেম্বর জিয়ার সঙ্গে তার সর্বশেষ সাক্ষাৎ হয়। এই জিয়ার হাত ধরেই খায়রুল এবিটিতে যোগ দিয়েছে। আর তার (জিয়া) ঠিক করে দেওয়া ব্যক্তিদের অনুসরণ করে হত্যার কাজে সহায়তা করাই ছিল তার মূল কাজ।”

গোয়েন্দারা বলছেন, পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগহীন খায়রুল রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় থাকতেন। খায়রুল ছাড়াও জামিল, রিফাত, ফাহিম ও জিসান নামে সংগঠনে পরিচিত ছিলেন তিনি।

খায়রুলকে পরে ঢাকার মুখ‌্য মহানগর আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন‌্য ১০ দিনের হেফাজতে চান গোয়েন্দা পরির্দশক বাহাউদ্দিন ফারুকী।

শুনানি শেষে মহানগর হাকিম দেলোয়ার হোসেন তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।