বুধবার সেতু ভবনে চীনা দূতাবাসের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনা শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা এডিপি যাচাই করেছে, সেটি আবার পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
“এ প্রকল্পে ফান্ডের প্রস্তাব আমাদের কাছে আছে। বিওওটি করার চিন্তাভাবনা আছে। প্রাথমিকভাবে চায়না থেকে একটি পজিটিভ সিগন্যাল পেয়েছি, তারা আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এতে ১১ বিলিয়ন ডলারের মত খরচ হবে।”
বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত মা মিং জিয়ানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে যায়।
মন্ত্রী বলেন, “আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমাকে অভিনন্দন জানানোর জন্য তারা এসেছেন। এ সময় সমসাময়িক কথা হয়েছে।
“চীনা প্রেসিডেন্ট শিং জিনপিংয়ের বাংলদেশ সফরের সময় যে চুক্তি ও এমওইউ হয়েছে সেসব বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ প্রকল্পগুলো যাতে ত্বরান্বিত করা যায় সে বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।”
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন প্রসঙ্গে কাদের বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রে যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক, আমাদের সঙ্গে সম্পর্কের কোনো পরিবর্তন হবে না, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকবে।”
সাক্ষাতের বিষয়ে চীনের রাষ্ট্রদূত মা মিং জিয়ান জানান, আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের পর দলে নতুন দায়িত্ব পাওয়ায় তারা ওবায়দুল কাদেরকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
চীনের রাষ্ট্রপতি সফরের সময় যেসব চুক্তি হয়েছে সেসব কিভাবে বাস্তবায়ন করা যায় এবং বন্ধুত্ব কিভাবে আরও এগিয়ে নেওয়া যায় তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান রাষ্ট্রদূত।