গ্লুকোমা আক্রান্ত কবি হেলাল হাফিজের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
Published : 30 Oct 2016, 07:06 PM
রোববার সন্ধ্যায় গণভবনে কবির সঙ্গে কথা বলার পর চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়ার কথা জানান সরকার প্রধান।
প্রধানমন্ত্রী বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সন্ধ্যায় গণভবনে শেখ হাসিনার সঙ্গে কবি হেলাল হাফিজের সাক্ষাৎ হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রী কবির শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেন।”
হেলাল হাফিজ প্রধানমন্ত্রীকে তার দুটি কাব্যগ্রন্থ ’যে জলে আগুন জ্বলে’ এবং ’কবিতা ৭১’ উপহার দেন বলে জানান শাকিল।
৪৫ মিনিটের এ সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রীকে নিজের কবিতা আবৃত্তি করেও শোনান নিভৃতচারী এ কবি।
গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কবি হেলাল হাফিজ- ছবি: ইয়াসিন কবির জয়
গ্লুকোমা আক্রান্ত হয়ে একটি চোখ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে ৬৮ বছর বয়সী হেলাল হাফিজের। অন্য চোখটির অবস্থাও সঙ্কটাপন্ন।
গ্লুকোমা একটি ‘অনিবারণযোগ্য’ রোগ, এতে চোখের উপর চাপ বেড়ে গিয়ে চোখের পিছনের স্নায়ু অকার্যকর হয়ে পড়ে এবং ধীরে ধীরে চোখের দৃষ্টিক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়।
গত ১৭ অক্টোবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে এক সাক্ষাতকারে তার শারীরিক অবস্থার বিস্তারিত জানান ষাটের দশকে মাত্র একটি কাব্যগ্রন্থ দিয়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে ওঠা কবি।
যৌবনে ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ কাব্যগ্রন্থ দিয়ে জনপ্রিয়তার বদৌলতে কবিতা পাঠের আসর ছাপিয়ে মিছিলে-স্লোগানে উচ্চারিত হতে থাকে তার কবিতা।
কবি হেলাল হাফিজ
সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনের সময়ে দেয়ালে দেয়ালেও উৎকীর্ণ হতে থাকে তার কবিতা- ‘এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’।
৮০-এর দশকে প্রকাশিত ওই কাব্যগ্রন্থের পর নিজেকে অনেকটা আড়ালে সরিয়ে নেন হেলাল হাফিজ। তার দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘কবিতা ৭১’ বের হয় তার ২৬ বছর পর ২০১২ সালে।
২০১৩ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান হেলাল হাফিজ। তার আগে খালেকদাদ স্মৃতি পুরস্কারসহ নানা সম্মাননা পেয়েছেন ১৯৪৮ সালে নেত্রকোনায় জন্ম নেওয়া এই কবি।