এক মাস আগে ঢাকার আজিমপুরের জঙ্গি আস্তানায় পুলিশি অভিযানে আহত অবস্থায় গ্রেপ্তার তিন নারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।
Published : 09 Oct 2016, 04:51 PM
ঢাকার মহানগর হাকিম মো. নূর নবী রোববার পুলিশের রিমান্ড আবেদনের শুনানি করে এই আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই সাইফুল ইসলাম।
তিনি জানান, ওই তিন নারীকে আদালতে হাজির করে প্রত্যেককে দশ দিনের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করা হয়েছিল। শুনানি শেষে বিচারক প্রত্যেককে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।
এই তিনজন হলেন- আজিমপুরের অভিযানে নিহত নব্য জেএমবি নেতা তানভীর কাদেরীর স্ত্রী আবেদাতুল ফাতেমা ওরফে খাদিজা, গুলশান হামলায় জড়িত নুরুল ইসলাম মারজানের স্ত্রী আফরিন ওরফে প্রিয়তি এবং আরেক জেএমবি নেতা বাসারুজ্জামান ওরফে চকলেটের স্ত্রী শারমিন ওরফে শায়লা আফরিন।
ওই তিন নারী মরিচের গুঁড়া ও ছোরা নিয়ে হামলা চালিয়েছিলেন বলে সেদিন পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন। তিনজনের মধ্যে একজন পুলিশের গুলিতে আহত হন, বাকি দুজন ছুরি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে জানায় পুলিশ।
এই তিন নারী ৮ অক্টোবর পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাহারায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সুস্থ হওয়ার পর শনিবার তাদের গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
পুলিশ বলছে, ‘নব্য জেএমবি’র নেতা তামিম চৌধুরী নারায়ণগঞ্জের অভিযানে নিহত হওয়ার পর জঙ্গিসংগঠনটির সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন কাদেরী। আজিমপুর থেকে যে তিন শিশুকে পুলিশ উদ্ধার করেছিল, তাদের মধ্যে কাদেরী-ফাতেমা দম্পতির যমজ ছেলের মধ্যে একজনও ছিল।
আজিমপুর অভিযানের পরদিন সন্ত্রাসবিরোধী আইনে পুলিশ মামলা করে, যাতে কাদেরীর ১৪ বছরের ছেলেকেও আসামি করা হয়। তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর সে নিজের ও তার বাবা-মায়ের জঙ্গি সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয় বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।