ঢাকা থেকে ৪৫০ কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে ৮ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে ধরে নিয়ে প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে রোববার ভূমিকম্প পরবর্তী এই উদ্ধার অভিযানের মহড়া দেখালেন ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা।
সাইরেন বাজার সঙ্গে সঙ্গে ভবনের নিচতলায় অবস্থানকারীরা মাথার উপর ব্যাগ, হাত বা শক্ত কিছু রেখে খোলা জায়গায় বেরিয়ে আসেন। বন্ধ করে দেওয়া হয় গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ। লিফটগুলো রাখা হয় ল্যান্ডিং পজিশনে।
মহড়ায় ভূমিকম্পে ‘আতঙ্কিত হয়ে’ অনেকে অবস্থান নেন ভবনের ছাদে। সচিবালয়ের ৪, ৫, ৬ ও ৭ নম্বর ভবনের ছাদ এবং কয়েকটি কক্ষ থেকে এ রকম ‘আটকে পড়াদের’ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
সচিবালয়ে কর্মরত কয়েক হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী মহড়ার সময় ভবন ছেড়ে নিচে নেমে আসেন। অনেকে ছাদে উঠে বা কক্ষের জানালা দিয়ে মহড়া দেখেন।
ভূমিকম্প সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর যৌথভাবে এই মহড়ার আয়োজন করে। মহড়ার নেতৃত্ব দেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন ও মেনটেইনেন্স) মেজর এ কে এম শাকিল নেওয়াজ।
উদ্ধার অভিযানেই শেষ নয়; মহড়ার অংশ হিসেবে সংবাদ সম্মেলনে আসেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব শাহ কামাল। তিনি বলেন, “৩০ জন নিখোঁজ রয়েছেন, আহত হয়েছেন ১২০ জন।”
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহাম্মেদ খান মহড়া শেষে সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
মহড়া শেষে মন্ত্রী বলেন, আগামী ১৩ অক্টোবর আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালনের অংশ হিসেবে এই মহড়া হল। ১০ অক্টোবর সদরঘাটেও এ ধরনের মহড়া হবে।
“ভূমিকম্প ও বজ্রপাতের আগাম সতর্কতা দেওয়া যায় না। ভূমিকম্প সম্পর্কে সচেতন করতেই এই মহড়ার আয়োজন করা হয়েছে,” বলেন মায়া।