ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশর (গণমাধ্যম) মো. ইউসুফ আলী জানান, রোববার ওই তিন নারীকে আদালতে পাঠিয়ে প্রত্যেককে দশ দিনের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করেছেন তারা।
এই তিনজন হলেন- আজিমপুরের অভিযানে নিহত নব্য জেএমবি নেতা তানভীর কাদেরীর স্ত্রী আবেদাতুল ফাতেমা ওরফে খাদিজা, গুলশান হামলায় জড়িত নুরুল ইসলাম মারজানের স্ত্রী আফরিন ওরফে প্রিয়তি এবং আরেক জেএমবি নেতা বাসারুজ্জামান ওরফে চকলেটের স্ত্রী শারমিন ওরফে শায়লা আফরিন।
স্বামীদের পথ ধরে ওই তিন নারীও জঙ্গিবাদে জাড়িয়েছেন বলে পুলিশের ভাষ্য।
গত ১০ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকার আজিমপুরে বিডিআর ২ নম্বর গেটের পাশে এক বাড়িতে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের আস্তানায় অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযান শেষে ওই বাড়ি থেকে তানভীর কাদেরীর লাশ উদ্ধার করা হয়। তিন শিশুকে উদ্ধার করার পাশাপাশি আহত অবস্থায় আটক করা হয় তিন নারীকে।
এই তিন নারী ৮ অক্টোবর পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাহারায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সুস্থ হওয়ার পর শনিবার তাদের গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
পুলিশ বলছে, ‘নব্য জেএমবি’র নেতা তামিম চৌধুরী নারায়ণগঞ্জের অভিযানে নিহত হওয়ার পর জঙ্গিসংগঠনটির সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন কাদেরী। আজিমপুর থেকে যে তিন শিশুকে পুলিশ উদ্ধার করেছিল, তাদের মধ্যে কাদেরী-ফাতেমা দম্পতির যমজ ছেলের মধ্যে একজনও ছিল।
আজিমপুর অভিযানের পরদিন সন্ত্রাসবিরোধী আইনে পুলিশ মামলা করে, যাতে কাদেরীর ১৪ বছরের ছেলেকেও আসামি করা হয়। তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর সে নিজের ও তার বাবা-মায়ের জঙ্গি সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয় বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।