কমিশনের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বৃহস্পতিবার সকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “গত রাতে শফিক-উর-রহমানকে তার মহাখালীর ডিওএইচএসের বাসা থেকে একটি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য আমরা প্রকাশ করব।”
রাত ১টার দিকে গ্রেপ্তারের পর নৌবাহিনীর সাবেক এই কর্মকর্তাকে নেওয়া হয় রমনা থানায়। রাতে তাকে সেখানেই রাখা হয় বলে রমনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলী হোসেন জানান।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য শফিক-উর-রহমান কোস্ট গার্ডের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন ১৯৯৫ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯৯৮ সালের অগাস্ট পর্যন্ত।
কোস্ট গার্ডের ১১ হাজার ১০০ মেট্রিক টন গম দুর্নীতির মাধ্যমে বিক্রি করে প্রায় সাড়ে সাত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ওই বছরই শফিক-উর-রহমানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ক্যান্টনমেন্ট থানায় এই মামলা করে তখনকার দুর্নীতি দমন ব্যুরো।
অবসরপ্রাপ্ত কমোডর শফিক-উর- রহমান আশিয়ান গ্রুপের একজন পরিচালক।
বেসরকারি নিরাপত্তা সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রি সিকিউরিটি সার্ভিসেসের ওয়েবসাইটেও নির্বাহী পরিচালক হিসেবে তার নাম দেখা যায়।
পরে সেন্ট্রি সিকিউরিটি সার্ভিসেস এক চিঠিতে জানায়, শফিক ২০১৪ সালের ১ জুন থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত তাদের সংস্থায় ছিলেন। তবে অসাবধানতাবশত ওয়েবসাইটে নামটি থেকে যায়। তবে এখন ওয়েবসাইট থেকে নামটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।