শনিবার সন্ধ্যায় বিজিবি সদরদপ্তরের ২ নম্বর গেইটের কাছে একটি বাসায় পুলিশের অভিযানে সন্দেহভাজন এক জঙ্গি নিহত ও তিন নারী আহত হন। এ সময় সংঘর্ষে পুলিশের পাঁচ সদস্যও আহত হয়েছেন।
তাদের সবাইকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত তিন নারীর মধ্যে দুজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন শারমিন (২৫) ও শায়লা (৪৫)। অপরজন নিজের নাম-পরিচয় বলছে না বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ছানোয়ার হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এই তিন নারীর মধ্যে একজন জঙ্গি জাহিদের স্ত্রী বলে আমরা ধারণা করছি। বিষয়টি নিশ্চিত হতে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।”
সে সময় পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, নব্য জেএমবির নেতা তামিম চৌধুরী গত ২৭ অগাস্ট নারায়ণগঞ্জের যে বাসায় পুলিশি অভিযানে নিহত হন সেই বাসা জাহিদ ভাড়া করে দিয়েছিলেন। জঙ্গি গোষ্ঠীটিতে তামিমের পরেই ছিল তার অবস্থান।
“আহত নারীদের মধ্যে জাহিদের স্ত্রী থাকতে পারে।”
ওই বাসা থেকে দুটি মেয়ে ও একটি ছেলে শিশুকে উদ্ধার করে পুলিশের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলছেন, এই বাসায় নিহত যুবক গুলশান হামলাকারীদের সহযোগী করিম বলে তারা মনে করছেন।
“গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলাকারীদের জন্য করিম নামে একজন বসুন্ধরায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিলেন। তার চেহারার সঙ্গে এই যুবকের চেহারার মিল রয়েছে।”
আহত নারীদের মধ্যে শারমিনের পেটে গুলি লেগেছে বলে মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই সেন্টু চন্দ্র দাশ জানিয়েছে। অপর দুজনের শরীরে ধারাল অস্ত্রের আঘাত রয়েছে বলে জানান তিনি।
আহত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে দুজনের পরিচয় জানা গেছে। এরা হলেন পুলিশ কনস্টেবল রাম চন্দ্র বিশ্বাস ও লাবলু।