স্ত্রী হত্যার ঘটনায় আলোচনার মধ্যে মঙ্গলবার সরকার বাবুলের অব্যাহতির প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি বলে তার বাবা আবদুল ওয়াদুদ জানিয়েছেন।
মাগুরা থেকে বুধবার টোলিফোনে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওর যে বোন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় থাকে- লাভলী, সে ফোনে বলেছিল, বাবুল শ্বশুরবাড়িতে আছে।”
কিন্তু মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনের পর বাবুল ঢাকার বনশ্রীর শ্বশুরবাড়ি থেকে বেরিয়ে যান বলে স্বজনরা জানিয়েছিলেন।
পদোন্নতি পেয়ে এসপি হয়ে বাবুল চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় পুলিশ সদর দপ্তরে বদলি হয়ে আসার পর গত ৫ জুন সকালে বন্দরনগরীর ওআর নিজাম রোডে সন্তানের সামনে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয় তার স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতুকে।
স্ত্রী খুন হওয়ার পর দুই সন্তানকে নিয়ে বনশ্রীতে শ্বশুর বাড়িতেই থাকতেন বাবুল। সেখান থেকে গত ২৪ জুন মধ্যরাতে তাকে ডিবি কার্যালয়ে তুলে নিয়ে ১৪ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের সময়ই তাকে পদত্যাগপত্র দিতে বাধ্য করা হয়েছিল বলে গুঞ্জন রয়েছে।
বাবুলের পদত্যাগপত্র গৃহীত হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে আবদুল ওয়াদুদ বলেন, “আল্লাহ পাক ফয়সালা করার মালিক। … দোষী না, তারপরও দোষী করার চেষ্টা হচ্ছে। এখন এটা মেনে নিতে হবে, কোনো উপায় নেই।”
বাবুল চাকরি ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করেছেন বলেও জানান তার বাবা। এজন্য পরবর্তী কোনো ধাপ থাকলে সেখানেও চেষ্টা করবেন বলে তিনি জানান।
বাবুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে মিতু হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার মো. কামরুজ্জামান বলেন, সে রকম কোনো তথ্য তার কাছে নেই।
“যেহেতু আমি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, সে গ্রেপ্তার হলে আমার জানার কথা।”