মঙ্গলবার বিকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনের পর এসপি বাবুলের মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তিনি তা ধরেননি।
তিন মাস আগে চট্টগ্রামে স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যাকাণ্ডের পর দুই সন্তানকে নিয়ে ঢাকার বনশ্রীতে শ্বশুর বাড়িতে ওঠেন বাবুল। সেখানেও খোঁজ নিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।
বাবুলের শ্বশুর সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন সন্ধ্যায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাবুল বিকালে বাসা থেকে বেরিয়ে গেছে। এখনও ফেরেনি।”
অব্যাহতির প্রজ্ঞাপনের খবর গণমাধ্যমে দেখেছেন বলে জানান মোশাররফ। তবে এ বিষয়ে আর কিছু জানেন না বলে তিনি জানান।
বাবুলের আবেদনেই তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে; যদিও তাকে পদত্যাগপত্র দিতে বাধ্য করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর আসে।
স্ত্রী হত্যাকাণ্ডের প্রায় দেড় মাস পর গত ২৪ জুন মধ্যরাতে শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবুলকে তুলে আনে পুলিশ। প্রায় ১৪ ঘণ্টা গোয়েন্দা কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়।
এরপর থেকে প্রায় দেড় মাস বাবুল অফিসে যাননি। তিনি পদত্যাগপত্র দিয়েছেন বলে গণমাধ্যমে খবর এলেও নিশ্চুপ ছিলেন বাবুল, পুলিশও স্পষ্ট কিছু বলেনি।
পুলিশ প্রধান এ কে এম শহীদুল হক সাংবাদিকদের শুধু বলেন, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত বাবুলের চাকরি করার ইচ্ছা নেই।
এর মধ্যে বাবুলকে পুলিশ সদর দপ্তরে দেখা গেলেও তিনি চাকরিতে যোগ দেননি বলে তার উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান।
এই রাখঢাকের মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল গত ১৪ অগাস্ট জানান, বাবুলের নিজের লেখা পদত্যাগপত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এসেছে।
স্ত্রী খুনের পর ডিবি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর নানা গুঞ্জনের মধ্যে গণমাধ্যম এড়িয়ে চলা বাবুল শুধু ফেইসবুক পাতায় লিখেছিলেন, “অনেকেই নতুন নতুন গল্প বানাতে ব্যস্ত… আমি তো বর্ম পরে নেই… আঘাত সইতেও পারি না, রুখতেও পারি না।”
পদোন্নতি পেয়ে এসপি হয়ে বাবুল চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় পুলিশ সদর দপ্তরে বদলি হয়ে আসার কয়েক দিনের মধ্যে গত ৫ জুন সকালে বন্দর নগরীর ও আর নিজাম রোডে সন্তানের সামনে খুন হন তার স্ত্রী মিতু।
শুরুতে ইসলামী জঙ্গিদের সন্দেহের কথা জানালেও মিতু হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহভাজন কয়েকজনকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ আগের অবস্থান থেকে সরে আসে। তবে কী কারণে হত্যাকাণ্ড, তা এখনও স্পষ্ট নয়।