১৯ জঙ্গির লাশ: নমুনা পরীক্ষার ফলের অপেক্ষায় পুলিশ

রাজধানীর গুলশান, কল্যাণপুর ও মিরপুর এবং নারায়ণগঞ্জে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে নিহত ১৯ জঙ্গির মরদেহের পরীক্ষা-নিরীক্ষার সব ফল এখনো হাতে আসেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Sept 2016, 09:51 AM
Updated : 5 Sept 2016, 11:28 AM

সোমবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে উপকমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান বলেন, “লাশগুলোর প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফলাফল এখনো হাতে এসে পৌঁছেনি।”

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের মর্গে থাকা ১৩ জঙ্গির লাশ নিয়ে পুলিশের সিদ্ধান্ত জানতে চেয়ে সম্প্রতি চিঠি দেয়।

ওই চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপি কর্মকর্তা মাসুদুর লাশগুলো চেয়ে কোনো পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়নি বলেও জানান।

তিনি বলেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফল পাওয়ার পর পরিবার লাশ নিতে চাইলে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ প্রসঙ্গে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ বলেন, “হাসপাতালে লাশ রাখার জন্য থাকা ২০টি ফ্রিজের মধ্যে ৮টিই নষ্ট। ১২টি ফ্রিজে মোট ১৬টি লাশ রয়েছে, যার মধ্যে আছে ১৩ জঙ্গির লাশ।

“এছাড়াও প্রতিদিন অন্তত ৪/৫টি লাশ আসে। ময়নাতদন্ত শেষে সেগুলো ফ্রিজে রাখার দরকার পড়ে। অনেকদিন ধরে ওই ১৩টি লাশ ফ্রিজে আছে। এতে কাজে সমস্যা হচ্ছে। লাশের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হাসপাতালের অধ্যক্ষকে জানানো হয়েছে।”

অধ্যক্ষ সামগ্রিক বিষয়টি মহানগর পুলিশ কমিশনারকে সম্প্রতি চিঠি দিয়ে জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছেন বলেও জানান তিনি।

গত ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলার পর অভিযানে পাঁচ জঙ্গিসহ ছয়জন নিহত হন। এরপর কল্যাণপুরের এক অভিযানে নয় জঙ্গির মৃত্যু হয়।

গত মাসের শেষদিকে নারায়ণগঞ্জে এক অভিযানে মারা যান নব্য জেএমবির শীর্ষ নেতা তামিম চৌধুরীসহ তিন জঙ্গি। সর্বশেষ শুক্রবার মিরপুরে এক অভিযানে মৃত্যু হয় তার সহযোগী সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলামের।

গুলশানের হলি আর্টিজানে অভিযানে নিহত ৬ জনের মরদেহ আছে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ)।

মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম শাখার অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হলি আর্টিজানে হামলার আগে তাদের কোনো ধরনের ‘শক্তিবর্ধক ওষুধ’ খাওয়ানো হয় কি না- তা নিশ্চিত হতে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের ল্যাবে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করানো হচ্ছে। সেই পরীক্ষার ফলাফল এখনো আসেনি।”

তিনি জানান, নারায়ণগঞ্জ, কল্যাণপুর ও মিরপুরে নিহতদের ডিএনএ সিআইডি পরীক্ষা করছে। সে ফলাফলও পাওয়া যায়নি। তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশের নমুনা রেখেছেন চিকিৎসকরা। আর কোনো নমুনার দরকার পড়লে তাও সংগ্রহ করা হবে।