রামপাল বিদ‌্যুৎ কেন্দ্রে সুন্দরবনের ক্ষতি হবে না: প্রধানমন্ত্রী

রামপালে তাপ বিদ‌্যুৎ কেন্দ্রটি যে সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি করবে না, তার ‘প্রমাণ’ দিয়ে এই প্রকল্প সরানোর দাবি প্রত‌্যাখ‌্যান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 August 2016, 10:40 AM
Updated : 27 August 2016, 10:40 AM

এই বিদ‌্যুৎ কেন্দ্রের বিরোধিতা করে একদল পরিবেশবাদী এবং বাম দলের পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সংবাদ সম্মেলনের প্রেক্ষাপটে সরকারের বক্তব‌্য নিয়ে শনিবার সংবাদ সম্মেলনে আসেন সরকার প্রধান।

বঙ্গবন্ধুকন‌্যা হিসেবে বাংলাদেশের নাগরিকদের তার উপর আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়ে বিরোধিতাকারীদের ‘অপপ্রচারে’ কান না দেওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।

গণভবনে বিকালে সরকার প্রধানের এই সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর স্বাগত বক্তব‌্যের পর পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন একটি ‘পাওয়ার পয়েন্ট’ উপস্থাপনা দেন।

তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বনের কাছে বিদ‌্যুৎ কেন্দ্রের নজির দেখানোর পাশাপাশি সুন্দরবনে যে কোনো দূষণ এড়াতে নেওয়া পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেন। এরপর রামপাল বিদ‌্যুৎ কেন্দ্রের গুরুত্ব তুলে ধরে একটি প্রামাণ‌্যচিত্র দেখানো হয়।

ভারতের সঙ্গে যৌথ উদ‌্যোগে বাগেরহাটের রামপালে ১৩০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ‌্যুৎ কেন্দ্র হচ্ছে, যা বিশ্ব ঐতিহ‌্য সুন্দরবনের পরিবেশ ও প্রতিবেশ হুমকিতে ঠেলে দেবে দাবি করে এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে বাম দলগুলো।

তেল-গ‌্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ‌্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির পর সুন্দরবন রক্ষা কমিটির ব‌্যানারে আরেকটি নাগরিক কমিটি আন্দোলন করছে।

তারা বলছে, কয়লাভিত্তিক এই বিদ‌্যুৎ কেন্দ্রের প্রভাবে ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ‌্য সুন্দরবনের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও প্রতিবেশ মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে।

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই শেখ হাসিনা বলেন, “আজকে আমি আপনাদের সামনে তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করে প্রমাণ করে দিব, বাস্তবায়নাধীন রামপাল-বিদ্যুৎ কেন্দ্র সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি করবে না।”

কেন রামপালে

বিদ‌্যুতের অব‌্যাহত চাহিদা মেটাতে উৎপাদন এখনকার প্রায় ১৫ হাজার মেগাওয়াট থেকে ২০২১ সালের মধ‌্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াটে বাড়াতে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সে কারণেই রামপাল বিদ‌্যুৎ কেন্দ্রটি হচ্ছে।

রামপালের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ

স্বল্প মেয়াদে কুইক রেন্টাল বিদ‌্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের পদক্ষেপ নেওয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, কিন্তু কুইক রেন্টাল কোনো স্থায়ী ব‌্যবস্থা নয়। দীর্ঘস্থায়ী বিদ‌্যুৎ ব‌্যবস্থায় কয়লার ব‌্যবহার বাড়ানো ছাড়া বিকল্প নেই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি, চীন, জাপান, ভারত তাদের মোট বিদ্যুতের ৪০ থেকে ৯৮ শতাংশ উৎপাদন করে কয়লা দিয়ে। অন্যদিকে, বাংলাদেশে কয়লা বিদ্যুতের পরিমাণ মাত্র ১ শতাংশের সামান্য বেশি।

স্থান হিসেবে রামপালকে নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য প্রয়োজন সস্তা পরিবহন ব্যবস্থা। সেজন্য কয়লা খনির কাছাকাছি অথবা সমুদ্র উপকূল বা গভীরতা-সম্পন্ন নদীর তীরে নির্মাণ করা হয়ে থাকে। আরেকটি বিবেচ্য দিক হচ্ছে যতদূর সম্ভব কম সংখ্যক মানুষের স্থানান্তর করা।

স্থানীয়দের উপর প্রভাব

১ হাজার ৮৩৪ একর জমির উপর বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি স্থাপিত হবে বলে বিএনপি চেয়ারপারসন দাবি করলেও তা নাকচ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

“আসলে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য জায়গা নেওয়া হয়েছে ৯১৫ একর। এর মধ্যে ৪৬৫ একরে মূল বিদ্যুৎ কেন্দ্র থাকবে। বাদবাকি জায়গায় সোলার প্যানেল বসবে এবং সবুজায়ন করা হবে।”

আট হাজারের বেশি মানুষকে উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে খালেদার দাবি নাকচ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রকৃতপক্ষে এলাকাটিতে মানুষের কোনো স্থায়ী বসতি ছিল না। কোনো বসতি উচ্ছেদ করা হয়নি। নিচু, পতিত জমি মাটিভরাট করে উঁচু করা হয়েছে।”

এই বিদ‌্যুৎ কেন্দ্র হলে সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল মানুষের চুরি করে গাছ কাটার প্রয়োজন আর থাকবে না বলে মনে করেন তিনি। “কোম্পানি থেকে বছরে ৩০ কোটি টাকা সিএসআর ফান্ডে জমা হবে। তা দিয়ে এলাকার জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন কাজ করা হবে। লাখ লাখ মানুষ উপকৃত হবে।”

বন থেকে কত দূরে

সুন্দরবনের কাছ থেকে নিরাপদ দূরত্বে রামপাল বিদ‌্যুৎ কেন্দ্রটি হচ্ছে বলে জানান।

সুন্দরবন

তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিকভাবে গভীর বনভূমির ১০ কিলোমিটারের মধ্যে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ না করার আইন আছে। আমাদের এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র সুন্দরবনের প্রান্ত সীমানা থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে এবং বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হতে প্রায় ৬৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।”

ভারতে বনাঞ্চলের ২৫ কিলোমিটার মধ্যে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের ‘আইনি বাধা’ থাকার বিষয়ে খালেদার বক্তব‌্যের জবাবে হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশের সঙ্গে ভারতের ওই রকম নীতিমালার তুলনা সঠিক নয়।

দূষণ প্রতিরোধে ব‌্যবস্থা

বিদ‌্যুৎ কেন্দ্র থেকে বায়ু, শব্দ দূষণ; কয়লা পরিবহনের কারণ নদী দূষণ হবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, “শব্দ ও আলো দূষণ সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখার জন্য আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি। গভীর সমুদ্র হতে কভার্ড বার্জে কয়লা পরিবহন করা হবে। বার্জে ব্যবহৃত হবে ঢাকনাযুক্ত কম শব্দযুক্ত ইঞ্জিন। ফলে পরিবেশ দূষণের কোনো সম্ভাবনা নেই।

“বিদ্যুৎ কেন্দ্রে শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ করার ব্যবস্থা থাকবে। ১৪ কিলোমিটার দূরে শব্দ যাবে না। ২০০ মিটারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পশুর নদী থেকে পানি নিয়ে ব্যবহারের পর তা শীতল করে বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহার করা হবে। কোনো দূষিত বা গরম পানি নদীতে ফেলা হবে না। যে পরিমাণ পানি উত্তোলন করা হবে তা অত্যন্ত নগণ্য।

“শুষ্ক মওসুমে পশুর নদীর প্রবাহের মাত্র দশমিক শূন‌্য ৫ শতাংশ অর্থাৎ ২ হাজার ভাগের এক ভাগ পানির প্রয়োজন হবে। এই পশুর নদীর নাব্যতা বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত ড্রেজিং করা হবে।”

সর্বাধুনিক পদ্ধতি

বড়পুকুরিয়ায় সাব ক্রিটিকাল তাপ বিদ‌্যুৎ কেন্দ্রের পর রামপালে অত‌্যাধুনিক আলট্রা সুপার ক্রিটিকাল বিদ‌্যুৎ কেন্দ্র হচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

বিরোধিতাকারীদের বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎ কেন্দ্র ঘুরে আসার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, “বড়পুকুরিয়া একটি সাব-ক্রিটিক্যাল পাওয়ার প্লান্ট। সাব-ক্রিটিক্যাল এবং আলট্রা-সুপারক্রিটিক্যাল প্লান্টের মধ্যে বিশাল ব্যবধান রয়েছে।”

প্রস্তাবিত নকশা

তিনি বলেন, সাধারণ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লা পোড়ানোর দক্ষতা যেখানে ২৮ শতাংশ, সেখানে আলট্রা-সুপারক্রিটিক্যাল পাওয়ার প্লান্টের দক্ষতা ৪২ থেকে ৪৩ শতাংশ। আল্ট্রা সুপার ক্রিটিকালে দূষণের মাত্রা শূন‌্যে নামিয়ে আনা সম্ভব।

“একই পরিমাণ কয়লা পুড়িয়ে আমরা দেড়গুণ বিদ্যুৎ পাব। সবচেয়ে গুণগত মানসম্পন্ন কয়লা এখানে ব্যবহার করা হবে। কয়লা আমদানি করা হবে অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে।”

দূষণ প্রতিরোধে সর্বাধুনিক যত ধরনের প্রযুক্তি পাওয়া যায় সেগুলো ব্যবহারের নিশ্চায়তা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফ্লু গ্যাস টেম্পারেচার, নাইট্রোজেন, সালফার-ডাই-অক্সাইড কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ পর্যবেক্ষণের জন‌্য রিয়েল টাইম কন্টিনিউয়াস এমিশন মনিটরিং সিস্টেম (CEMS) থাকবে। অন্যান্য দূষণ নিয়ন্ত্রণকারী যন্ত্রপাতিও বসানো হবে।

রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইএসপি (Electro-static Precipitator) থাকবে যা উদগীরণকৃত ফ্লাই অ্যাশের ৯৯.৯৯ শতাংশ ধরে রাখতে সক্ষম হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

“এই ছাই সিমেন্ট ফ্যাক্টরিতে ব্যবহৃত হবে। একইভাবে এফজিডি (Flue gas desulphurization) স্থাপনের ফলে ৯৬ শতাংশ সালফার গ্যাস শোষিত হবে। এই সালফার গ্যাস থেকে জিপসাম সার তৈরি হবে।”

রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চিমনীর উচ্চতা ২৭৫ মিটার হবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এই চিমনি দিয়ে যে কার্বন-ডাই-অক্সাইড বের হবে তা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১.৬ কিলোমিটারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।

“এই এলাকার বায়ুপ্রবাহ সুন্দরবনের বিপরীত দিকে। অর্থাৎ সামান্য পরিমাণ ক্ষতিকারক বায়বীয় পদার্থও যদি নিঃসরণ হয়, তবে তা সুন্দরবনের দিকে নয়, উল্টোদিকে প্রবাহিত হবে।”

যুক্তরাষ্ট্রেও বনের কাছে বিদ‌্যুৎ কেন্দ্র

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বনভূমির মাঝখানে, কাছে এমনকি শহরের মধ্যেও কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থাকার তথ‌্য তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।

তার দেওয়া তথ‌্য অনুসারে- যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ায় ১৩০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ‌্যুৎ কেন্দ্রটি ন্যাশনাল পার্কের এক কিলোমিটারের মধ্যে, ভিয়েতনামের কুয়াং নিন বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিশ্ব ঐতিহ‌্য হ্যা লং বে ৬ কিলোমিটার দূরে, জাপানের ইয়কোহোমায় ইসোগো বিদ্যুৎ কেন্দ্র আবাসিক এলাকার কাছে, তাইওয়ানের তাইচুং বিদ্যুৎ কেন্দ্র শহরের প্রাণকেন্দ্রে, জার্মানির ক্রাফটওয়ার্ক-মুরবার্গ এবং রেইনহফেন ড্যাম্ফক্রাফট বিদ্যুৎ কেন্দ্র শহর সংলগ্ন ও নদীর তীরে।

যুক্তরাষ্ট্রের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রায় ৪০ শতাংশ আসে কয়লা থেকে এবং সেখানে কয়লাভিত্তিক ৭ হাজারের বেশি বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু থাকার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী।

রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠায় সর্বোচ্চ মান বজায় রাখার জন্য জার্মানির ফিশনার গ্রুপকে পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার কথাও জানিয়ে তিনি বলেন, “কাজের মান নিয়ে কোনো প্রশ্নের অবকাশ নেই। আমরা এ বিষয়ে কোনো আপস করব না।”

এক্সিম ব‌্যাংক না এলে ‘নিজস্ব অর্থায়নে’

ভারতের এনটিপিসি ও বাংলাদেশের পিডিবির সমান অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ভারত মৈত্রী বিদ্যুৎ কোম্পানি গঠন করা হয়েছে, যে কোম্পানি এই বিদ‌্যুৎ কেন্দ্রটি করছে।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা

শেখ হাসিনা বলেন, উভয় সংস্থা ১৫ শতাংশ করে বিনিয়োগ করবে। বাকি ৭০ শতাংশ দিবে ভারতের এক্সিম ব্যাংক। এই ৭০ শতাংশ অর্থায়নের ব্যাংক গ্যারান্টার থাকবে বাংলাদেশ।

“অজ্ঞাতবশতঃ কেউ কেউ এটাকে অন্যভাবে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছেন। গ্যারান্টার হওয়া মানে তো বিনিয়োগ করা নয়। কোনো কারণে যদি কোম্পানি ব্যর্থ হয়, তখন ক্ষতিপূরণের প্রশ্ন আসবে। সে রকম হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।”

বিশ্বের বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংস্থা এই প্রকল্পে অর্থায়ন না করতে ভারতের এক্সিম ব‌্যাংকে আহ্বান জানিয়ে আসছে।

তারা যদি সরে যায়, তাহলে কী হবে- সাংবাদিকদের এই প্রশ্নে শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, “আমরা নিজেরাই প্রকল্প বাস্তবায়ন করব।”

রামপালে উৎপাদিত বিদ্যুতের দাম ৮ দশমিক ৮৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে খালেদা জিয়ার বক্তব্যকে ‘সম্পূর্ণ অসত্য কথন’ আখ‌্যায়িত করে শেখ হাসিনা বলেন, এ কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের দাম নির্ধারিত হবে কয়লার দামের উপর ভিত্তি করে।

রামপালে বিরোধিতাকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “রামপালে সুন্দরবনের কথা বলে বিরোধিতা করেছে, আনোয়ারাও তো সুন্দরবন নেই, সেখানে বিরোধিতা করছে কেন?”