অভিজিৎ হত্যায় সন্দেহভাজনদের নতুন ভিডিও

গত বছর একুশের বইমেলার সময় অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডের আগে ওই এলাকার সাতটি সিসিটিভি ভিডিও প্রকাশ করেছে পুলিশ। 

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 August 2016, 12:44 PM
Updated : 21 August 2016, 12:44 PM

এসব ভিডিওতে নতুন করে পাঁচজনকে চিহ্নিত করে তাদের শনাক্ত করার জন্য নগরবাসীর সহায়তা চাওয়া হয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের ফেইসবুক পেইজে ভিডিওগুলো প্রকাশ করে বলা হয়েছে, চিহ্নিত ব্যক্তিদের সম্পর্কে কোনো তথ্য বা তাদের পরিচয় জানা থাকলে ফেইসবুকে মেসেজ হিসেবে অথবা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অ্যাপ Hello CT তে জানানো যাবে।

এই সাত ভিভিওর মধ্যে বইমেলার ফটকের একটি ভিভিও গত ১৯ জুন প্রকাশ করেছিল পুলিশ। সেখানে অভিজিৎ ও তার স্ত্রী বন্যা আহমেদের অনুসরণকারী হিসেবে এক তরুণকে চিহ্নিত করে সে সময় বলা হয়, ওই যুবক নিহত শরীফুল নিষিদ্ধ সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের অপারেশন বিভাগের ‘গুরুত্বপূর্ণ সদস্য’ শরীফুল। 

যেদিন ওই ভিডিও প্রকাশ করা হয়, তার আগে ভোরে ঢাকার খিলগাঁওয়ের মেরাদিয়া বাঁশপট্টি এলাকায় গোয়েন্দা পুলিশের কথিত বন্দুকযুদ্ধে শরীফের নিহত হওয়ার খবর জানায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, ৩০ বছর বয়সী এই যুবক সাকিব, সালেহ, আরিফ ও হাদী নাম ব্যবহার করে পরিচয় গোপন করে আসছিলেন। তাকে ধরিয়ে দিতে পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা ছিল।

সেই একই ভিডিওতে এবার আরও দুজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ।

ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মাসুদুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা ছয়জনকে চিহ্নিত করেছি। এর মধ্যে একজন এনকাউন্টারে মারা গেছে। বাকিদের তথ্য জানতেই আমরা ভিডিও প্রকাশ করেছি।” 

অধ্যাপক অজয় রায়ের ছেলে মুক্তমনা ব্লগসাইট পরিচালনাকারী অভিজিৎ থাকতেন যুক্তরাষ্ট্রে। লেখালেখির কারণে জঙ্গিদের হুমকিতে থাকার মধ্যেও গত বছর বইমেলার সময় স্ত্রীকে নিয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন তিনি।

২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে বইমেলা থেকে বের হওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে কুপিয়ে হত্যা করা হয় অভিজিৎকে। তার সঙ্গে থাকা বন্যাও হামলার শিকার হয়ে একটি আঙুল হারান।

পুলিশ বলছে, আনসারউল্লাহ বাংলাটিমের ছয় সদসের একটি দল অভিজিতের উপর হামলায় জড়িত ছিল।

হত্যাকাণ্ডের পরপরই এক চা দোকানি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, তিনি দুজন হামলাকারীকে অভিজিৎ ও বন্যাকে চাপাতি দিয়ে কোপাতে দেখেন। হামলাকারী দুজনকে দুদিকে পালিয়ে যেতেও দেখেছিলেন তিনি।

গত জুনে প্রথম ভিডিও প্রকাশের পর শরীফ ছাড়া বাকি পাঁচজনের বিষয়েও গোয়েন্দারা তথ্য পাচ্ছেন জানিয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার মাশরুকুর রহমান খালেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, “একজন মোটা লোক সেখানে ছিল। সে সম্ভবত পুরনো ঢাকার বাসিন্দা। ওই যুবকটি প্রযুক্তি সম্পর্কে ভাল ধারণা রাখে। বাকি চারজনের শারীরিক বর্ণনাসহ কিছু তথ্যও পেয়েছে গোয়েন্দারা।”