শনিবার সন্ধায় ঢাকায় এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে, তাকে থামিয়ে দিতে চক্রান্ত শুরু হয়েছে। একাত্তরের পরাজয় মেনে নিতে পারেনি বলেই বিভিন্ন নামে চক্রান্ত শুরু হয়ে গেছে, শুরু হয়েছে জঙ্গি হামলা।
“দুঃখ লাগে যখন শুনি একজন ডাক্তারের সন্তান মহিলা জঙ্গি, একজন উচ্চবিত্ত ব্যক্তির সন্তান জঙ্গি। আমি আপনাদের প্রতি অনুরোধ করব; আপনার সন্তানের খবর রাখেন। তারা কখন কোথায় যায়, কী করে।”
গত মঙ্গলবার ঢাকা ও টাঙ্গাইলে অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ সংগঠন জেএমবি সম্পৃক্ততার অভিযোগে চার নারী জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, যার মধ্যে ঐশী নামে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ছাত্রী শিক্ষানবিশ এক চিকিৎসক রয়েছেন।
ঐশীর বাবা-মা দুজনেই চিকিৎসক। তার বাবা ডা. বিশ্বাস আক্তার হোসেন (৫৮) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরর; আর মা ডা. নাসিমা সুলতানা (৪৮) আছেন সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগে।
গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, প্রায় তিন বছর ধরে প্রত্যক্ষভাবে জঙ্গি কার্যক্রমে জড়িত ঐশী। সোমবার রাতে মগবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তারের সময় তার ল্যাপটপে ‘উগ্র মতবাদ সংক্রান্ত বিভিন্ন ফাইল, ম্যাগাজিন, লেকচার ও ভিডিও’ পাওয়া যায়।
রাজধানীর ফার্মগেটে খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে (কেআইবি) জাতীয় শোক দিবসে উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে কৃষি মন্ত্রণালয়।
সভায় পঁচাত্তরের খুনিদের বিচারের প্রসঙ্গ টেনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নাসিম বলেন, “বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের সকল সদস্যকে হত্যা, জাতীয় চার নেতাকে কারাগারে হত্যার বিচার যাতে না হয়… এর জন্য জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়া সরকার একটি কালো আইন (ইনডেমনিটি) লালন করেছিল।
“খালেদা জিয়া সরকারের সময় আমরা এই আইন বাতিলের জন্য সংসদে দফায় দফায় উথ্যাপন করেছি। কিন্তু এই আইন বাতিলের নামে আমাদের সাথে তারা তামাশা করেছে।”
“বিএনপি নেতা মওদুদ সাহেব তখন নিজে আইনমন্ত্রী থেকে আমাদের বলেছে মামলা পরিচালনা করার জন্য বিচারক পাওয়া যাচ্ছে না। আপনারা দেখেছেন? মওদুদ কত রকমের ‘ভণ্ড’।”
সভায় দেশের উন্নয়নে কৃষি মন্ত্রণালয় ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর ভূমিকার প্রশংসা করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “মতিয়া আপার নেতৃত্বে কৃষি মন্ত্রণালয় এগিয়ে যাচ্ছে। বিএনপি সরকারের সময় দেশে খাদ্যের ঘাটতি ছিল। আর মতিয়া আপা যখনই দায়িত্ব নিয়েছেন তখনই খাদ্যে উদ্বৃত্ত দেশে পরিণত হচ্ছে।
“আর এই কৃষি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব একজন যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমানের হাতে দিয়ে এই মন্ত্রণালয়কে কলঙ্কিত করেছিল খালেদা জিয়া।”
সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেন, “কৃষি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন পৃথিবীর অনেক দেশ থেকে এগিয়ে। বাংলাদেশ এখন সারা পৃথিবীর মানুষের আর্তমানবতার সেবায় হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। আমাদের খাদ্যের উদ্বৃত্ত আছে বলেই এটা সম্ভব হচ্ছে।”
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মঈনুদ্দিন আব্দুল্লাহর সভাপতিত্বে সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোশাররফ হোসেন বক্তব্য রাখেন।