এই পরিস্থিতিতে বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে হজ এজেন্টদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে যাত্রীর আসন ও টিকেট নিশ্চিত করতে অনুরোধ করেছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠানটি।
অন্যদিকে হজযাত্রীদের ভিসা জটিলতায় এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে জানিয়ে হজ এজেন্সিগুলোর সমিতি- হাব এজন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়কে দায়ী করেছে।
বিমানের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “বাতিলকৃত ফ্লাইটের কারণে বিমানের হজযাত্রী পরিবহনে ৫ হাজার আসনের ক্যাপাসিটি খোয়া গিয়েছে। গত ৪ অগাস্ট শুরু হওয়া হজ ফ্লাইট পরিচালন কার্যক্রমের আওতায় এ পর্যন্ত বাতিলকৃত ফ্লাইটের কারণে আর্থিক ও মারাত্মক যাত্রী সংকটের মুখোমুখি হয়েছে বিমান।”
এবার সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ থেকে এক লাখ এক হাজার ৭৫৮ জনের হজে যাওয়ার কথা।সৌদি আরবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর হজ হতে পারে।
গত ৪ অগাস্ট শুরু হওয়া হজ ফ্লাইট চলবে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। আর ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে ফিরতি ফ্লাইট।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ৭ অগস্ট পর্যন্ত ২৬টি ফ্লাইটে নয় হাজার ৯২৮ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী সৌদি পৌঁছান।
হাবের সাধারণ সম্পাদক শেখ আবদুল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এবার ১ লাখ ১ হাজার ৭৫৮ জনের ভিসা হওয়ার কথা ছিল। এখন পর্যন্ত কেবল ৬৫ হাজার জনের ভিসা হয়েছে।”
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ ব্যবস্থানায় ‘চরম অব্যবস্থাপনার’ অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, “যারা হজের ভিসা পেয়েছেন তাদের জন্য নিয়ম মেনেই বিমানের টিকেট বুকিং দিয়েছে হজ এজেন্টরা। ভিসা কম হওয়ায় বিমানের ফ্লাইটে কম লোক গেছে।
হাবের অভিযোগের বিষয়ে জানতে একাধিকার চেষ্টা করা হলেও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (হজ) মোস্তফা কামাল ফোন ধরেননি।