রাজীব হত‌্যায় দণ্ডিত সাদমান রিমান্ডে

ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার হত‌্যাকাণ্ডের জন‌্য সাজা খাটার পর ফের গ্রেপ্তার সাদমান ইয়াসির মাহমুদকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন‌্য হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ।

জ‌্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 August 2016, 03:24 PM
Updated : 10 August 2016, 03:24 PM

সাদমানকে এই মামলায় ১০ দিন হেফাজতে চেয়ে ঢাকার হাকিম আদালতে আবেদন করেছিল ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম ইউনিট।

বুধবার শুনানি শেষে মহানগর হাকিম নুরুন্নাহার ইয়াসমীন দুই দিন হেফাজতের আদেশ দেন বলে সাদমানের আইনজীবী রুবেল আল কাইয়ুম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।

২০১৩ সালের রাজীব হত‌্যার মামলায় গত বছর দেওয়া রায়ে তিন বছরের সাজা হয়েছিল নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ‌্যালয়ের বহিষ্কৃত ছাত্র সাদমানের।

গ্রেপ্তারের পর কারাগারে থাকার সময়টুকু হিসেবে ধরার পর সাজা খেটে গত ২১ জুলাই গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে বের হয়েছিলেন তিনি।

গুলশান ও শোলাকিয়ায় হামলা এবং তাতে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ‌্যালয়ের কয়েক ছাত্রের জড়িত থাকার বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ার প্রেক্ষাপটে কারামুক্তির পরপরই সাদমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।  

গত ২২ জুলাই তাকে আটকের খবর জানিয়ে জয়দেবপুর থানার ওসি খন্দকার রেজাউল হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, সাদমানকে ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছেন তারা।

তবে আদালতে রিমান্ডের আবেদনে বলা হয়, আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের সদস্য সাদমান এবং ইব্রাহীম ইবনে মোল্লা মোশাররফসহ কয়েকজন গত মঙ্গলবার (২ অগাস্ট) ঢাকার মিরপুরে চিড়িয়াখানার পাশে ঈদগাহ মাঠে রাষ্ট্রবিরোধী নাশকতামূলক কাজের জন্য সমবেত হয়েছিলেন। তখন সাদমান ও ইব্রাহীম ধরা পড়লেও বাকিরা পালিয়ে যান।

মুখ্য. মহানগর হাকিম আদালত

এরপর কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক মো. মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে সাদমান ও ইব্রাহীমের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সাদমানের সঙ্গে ইব্রাহীমকেও দুদিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়।  

সাদমানের রিমান্ড বাতিল চেয়ে করা আবেদনের শুনানিতে তার আইনজীবী রুবেল বলেন, কাশিমপুর কারাগার থেকে বেরিয়ে আসার সময় কারাফটকেই সাদমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

সাদমানের বাবা চিকিৎসক হাসিব মাহমুদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কারাফটক থেকে আটকের পর ছেলের খবর পাচ্ছিলেন না তারা।

“আজ (বুধবার) খোঁজ পেয়ে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে পৌঁছে দেখি শুনানি শেষ হয়ে গেছে।”