হাতিটি উদ্ধারের আশা

দেড় মাস চরে বেড়ানো ভারতীয় বুনো হাতিটি বৃহস্পতিবারের মধ‌্যে উদ্ধারে আশাবাদী বন কর্মকর্তারা।

জ‌্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 August 2016, 04:22 PM
Updated : 16 August 2016, 09:54 AM

এ কাজের তদারকিতে থাকা বন অধিদপ্তরের সাবেক উপ প্রধান বন সংরক্ষক তপন কুমার দে মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বন্যার পানি কমছে। হাতিটিকে রাস্তার কাছাকাছিও পাওয়া যাচ্ছে।

“আমাদের প্রস্তুতিও চূড়ান্ত পর্যায়ে। আশা করি, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই হাতিটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হবে।”

হাতিটি উদ্ধারে আসা ভারতীয় প্রতিনিধি দলটি মঙ্গলবার দুপুরে ফিরে গেছে। যাওয়ার আগে তারা উদ্ধার কার্যক্রমের বিষয়ে কিছু সুপারিশও রেখে গেছে।

এখন হাতিটি উদ্ধার হলে একে নিয়ে যাওয়া হবে বাংলাদেশের কোনো সাফারি পার্কে। পরে গারো পাহাড়ের বনে ছেড়ে দেওয়া হবে, যাতে ভারত থেকে আসা হাতির পালের সঙ্গে এটি চাইলে যেতে পারে। 

আসাম থেকে বানের জলে ভেসে আসার পর চারটি জেলা  ঘুরে এখনও জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে আছে হাতিটি।

মঙ্গলবার উদ্ধার কাজে যোগ দিতে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের প্রধান পশু চিকিৎসক সেখানে পৌঁছেছেন। ঢাকা থেকে ভেটেরিনারি সার্জনও গেছেন।

এর আগে চেষ্টা চালিয়ে ব‌্যর্থ হলেও বন্যার পানি কমে যাওয়ায় এবার সফল হওয়ায় আশাবাদী তপন দে।

উদ্ধার কাজে মাঠে থাকা বন অধিদপ্তরের ভেটেরিনারি সার্জন সৈয়দ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “স্বল্প সময়ের জন্য হাতিটিকে নদীর পাড়ে পাওয়া গিয়েছিল আজ। সরিষাবাড়ীর সৈয়দপুর উচ্চ বিদ‌্যালয় মাঠের কাছেই উঠেছিল হাতিটি। স্বল্প সময়ের জন্য এসে নদীর পাড়ে অবস্থান নেয়।

“তবে আমরা এগুতেই নদী পার হয়ে চরে চলে যায়। সন্ধ্যার আগে ধারাভাষ্য চরে অবস্থান করছিল। দূর থেকে দু’বার শুট (অচেতন করার ডার্ট ছুড়ে) করেও কাজ হয়নি।”

“শতভাগ আয়ত্তে পাইনি। হাতিটিকে অচেতন করে সরানোর জায়গা যেমন দরকার, আবার দুর্ঘটনা এড়াতে আমাদের এক্সিটও দরকার। দুটো একসঙ্গে হচ্ছে না।”

সেই সঙ্গে উদ্ধারকারী দলের দুর্ভোগের কথা তুলে ধরে সৈয়দ হোসেন বলেন, “হাতির তাড়া থেকে শুরু করে নলখাগড়াসহ নানা ধরনের আপদ রয়েছে।”

মঙ্গলবারই সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত একটানা হাতির পেছনে ছোটার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, টানা পরিশ্রমে তারাও ক্লান্ত।