নিখোঁজ তামিমসহ ৫ জন ভারতে বলে সন্দেহ

গুলশান ও শোলাকিয়ায় হামলার পর র‌্যাবের করা নিখোঁজ তালিকার তামিম আহমেদ চৌধুরীসহ সন্দেহভাজন পাঁচজন ভারতে থাকতে পারেন বলে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দেশটির গোয়েন্দাদের জানানো হয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 July 2016, 07:52 AM
Updated : 30 July 2016, 01:56 PM

নয়াদিল্লি সফররত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সঙ্গে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানিয়েছে টাইমস অফ ইন্ডিয়া।

সূত্রের পরিচয় না দিয়ে ভারতের সংবাদপত্রটি লিখেছে, দুই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ ছিল এই বিষয়ক আলোচনা।

ঢাকার গুলশান এবং কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় হামলার পর জঙ্গিরা ভারতে ঢুকতে পারে আশঙ্কা থেকে বাংলাদেশ সীমান্তের ভারতের রাজ্যগুলো ইতোমধ্যে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে।

যে পাঁচজনকে নিয়ে ‘আলোচনা হয়েছে’, তারা কি বাংলাদেশ থেকে ভারতে ঢুকেছেন না কি অন্য দেশ হয়ে ভারতে গেছেন, তা স্পষ্ট নয় টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে।

এদের মধ্যে সিলেটের তামিম আহমেদ চৌধুরী একজন কানাডিয়ান বাংলাদেশি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাইফুল্লাহ ওজাকি জাপানি বাংলাদেশি। দেশ দুটি থেকে তারা নিখোঁজ।

লক্ষ্মীপুরের এ টি এম তাজউদ্দিন অস্ট্রেলিয়া থেকে নিখোঁজ। চাঁপাইনবাবগঞ্জের মেরিন ইঞ্জিনিয়ার নজিবুল্লাহ আনসারী মালয়েশিয়া থেকে নিখোঁজ। 

ঢাকার বাসিন্দা নিখোঁজ জুন্নুন শিকদার নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের প্রধান মুফতি জসীমউদ্দীন রাহমানীর সঙ্গে সন্ত্রাস দমন আইনের মামলার আসামি। 

গুলশান ও শোলাকিয়ায় হামলায় ঘরছাড়া তরুণ-যুবকদের জড়িত থাকার তথ্য প্রকাশের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিখোঁজ ১০ জনের যে প্রথম তালিকা দিয়েছিল, তাতে এই পাঁচজনের নামই ছিল।

দ্বিতীয় তালিকায় থাকা শেজাদ রউফ অর্ক গত ২৬ জুলাই ঢাকার কল্যাণপুরে জঙ্গি আস্তানায় পুলিশের অভিযানের নিহত হন। সেখানে নিহত অর্কসহ নয়জনই জেএমবির সদস্য বলে পুলিশের দাবি।

তামিম আহমেদ চৌধুরী

তামিম জেএমবির নেতা বলে গোয়েন্দাদের দাবি। তবে আইএসের বিভিন্ন প্রকাশনার উপর ভিত্তি করে তাকে সংগঠনটির বাংলাদেশ শাখার প্রধান বলে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে খবর আসছে।

বলা হচ্ছে, কানাডার উইন্ডসরের বাসিন্দা ৩০ বছর বয়সী তামিম ২০১৩ সাল থেকে নিখোঁজ।

সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার দুবাগ ইউনিয়নের বড়গ্রামের প্রয়াত আব্দুল মজিদ চৌধুরীর ছেলে শফি আহমদ চৌধুরীর পুত্র তামিম।

মজিদ চৌধুরী একাত্তরে শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন বলে স্থানীয়রা জানায়। তামিমের বাবা শফি আহমদ জাহাজে চাকরি করতেন। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে তিনি সপরিবারে কানাডায় পাড়ি জমান।