বুধবার রাতে মিরপুর মডেল থানায় পুলিশের পক্ষ থেকে এ মামলা করা হয় বলে ওসি ভূঁইয়া মাহবুব হোসেন জানান।
তিনি বলেন, “অভিযানে নিহত নয়জন ও আহত একজনসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও বেশ কয়েকজনকে আসামি করে পুলিশ এই মামলা করেছে।”
কল্যাণপুরের ৫ নম্বর সড়কে তাজ মঞ্জিল নামের ছয় তলা একটি ভবনের পঞ্চম তলায় অভিযানে গিয়ে সোমবার রাতে হামলার মুখে পড়েন পুলিশ সদস্যরা। পরে মঙ্গলবার ভোরে সেখানে সোয়াটের বিশেষ অভিযানে নিহত হন সন্দেহভাজন নয় জঙ্গি।
ভোরের সেই অভিযানের আগেই গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেপ্তার হন মো. রাকিবুল হাসান রিগান নামের এক তরুণ, যাকে পুলিশি পাহারায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ওই বাসায় অস্ত্র, বিস্ফোরকের পাশাপাশি আইএস এর পতাকা ও কালো পাঞ্জাবি পাওয়ার কথা জানালেও পুলিশের ধারণা, হতাহতরা সবাই বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গিদল জেএমবির সদস্য।
ওই জঙ্গি আস্তানায় অভিযানে নিহত নয়জনের মধ্যে সাতজনের আঙ্গুলের ছাপ মিলিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদের মধ্যে সেজাদ রউফ যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্টধারী। গত ফেব্রুয়ারি থেকে নিখোঁজ এই যুবক গুলশানে ক্যাফেতে হামলাকারী নিবরাজ ইসলামের বন্ধু ছিলেন।
এদিকে যে ভবনে ওই জঙ্গি আস্তানা, ‘তাজ মঞ্জিল’ নামের ওই বাড়ির মালিকের স্ত্রী মমতাজ পারভীনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
বাড়ি ভাড়া দেওয়ার আগে ভাড়াটেদের নাম ঠিকানা যাচাই না করার অভিযোগ আনা হয়েছে মমতাজের বিরুদ্ধে। পুলিশ বলছে, তার স্বামী আতাহার উদ্দিন আহমেদ পলাতক।