এর মধ্যে গুলশান নর্থ এভিনিউতে অবস্থিত স্কলাস্টিকা স্কুল ও গুলশান-২ নম্বরে অবস্থিত অরোরা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল কর্তৃপক্ষ স্থানান্তরের জন্য ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় পেয়েছে।
আর গুলশান-২ নম্বরে অবস্থিত হোটেল হলিডে প্ল্যানেট, হোটেল আমারি ও বনানীর কফি ওয়ার্ল্ড সময়ে পেয়েছে তিন মাস।
পৃথক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
একই সঙ্গে এই সময়ে স্কুল কর্তৃপক্ষকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করে কার্যক্রম চালাতে বলেছে আদালত।
আদালত বলেছে, তবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিষ্ঠান দুটি স্থানান্তরিত না হলে এ বিষয়ে বিবাদীদের পদক্ষেপ নেওয়ার স্বাধীনতা থাকবে।
অন্যদিকে হোটেল হলিডে প্যানেট, হোটেল আমারি ও বনানীর কফি ওয়ার্ল্ড উচ্ছেদে তিন মাস পদক্ষেপ না নিতে বিবাদীদের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়।
এক্ষেত্রেও নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং বেঁধে দেওয়া সময়ের পর বিবাদীদের পদক্ষেপ নেওয়ার স্বাধীনতা থাকবে বলেও আদালত জানিয়েছে।
গুলশানে হামলার পর ওখানে থাকা অনুমোদনবিহীন ৫৫২টি প্রতিষ্ঠানের তালিকা করে রাজউক। সোমবার থেকে এসব উচ্ছেদে কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
এ অবস্থায় ওখানে থাকা স্কুল ও হোটেল-রেস্টুরেন্ট উচ্ছেদ করা পারে এমন আশঙ্কা থেকে স্কুল ও হোটেলে কর্তৃপক্ষ চলতি সপ্তাহে পৃথক পাঁচটি রিট আবেদন করে, যা বুধবার শুনানির জন্য ওঠে।
রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন, আব্দুল কাইয়ূম, ব্যারিস্টার ওমর সাদাত।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।
মোখলেছুর রহমান আদেশের বিষয়টি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন।
রিট আবেদনে স্থানীয় সরকার সচিব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব, রাজউক চেয়ারম্যান ও উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে বলে জানান মোখলেছুর রহমান।
রাষ্ট্রের এই আইন কর্মকর্তা আরো বলেন, কোন ধরনের নোটিস ছাড়া উচ্ছেদ কার্যক্রম কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং ওই কার্যক্রম ইমারত নির্মাণ বিধিমালার ৩(১) বিধি ও সংশ্লিষ্ট বিধি-বিধানের পরিপন্থি ঘোষণা করা হবে না- রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।