কল্যাণপুরে নিহতদের ছবি প্রকাশ করে তথ্য চেয়েছে পুলিশ

রাজধানীর কল্যাণপুরে জঙ্গি আস্তানায় নিহত নয়জনের ছবি প্রকাশ করে তাদের বিষয়ে তথ্য চেয়েছে পুলিশ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 July 2016, 05:43 PM
Updated : 27 July 2016, 02:47 PM

মঙ্গলবার সকালে অভিযান শেষের পর সন্ধ্যায় ঢাকা মহানগর পুলিশের ফেইসবুক পাতায় ছবিটি (রক্তাক্ত লাশের ছবিটি অপ্রাপ্তবয়স্কদের দেখার ক্ষেত্রে অভিভাবকদের নির্দেশনা নেওয়ার অনুরোধ করা হল) প্রকাশ করা হয়।

সেই সঙ্গে ছবির ব্যক্তিদের নাম, পরিচয় ও পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা জানানোর জন্য দেশবাসীর কাছে আহ্বান জানানো হয়।

কোনো তথ্য কেউ জেনে থাকলে ডিএমপির ফেইসবুক পাতার  (Dhaka Metropolitan Police-DMP) এর ইনবক্সে পাঠানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে।

গুলশান ও শোলাকিয়ায় হামলার পর জঙ্গিবিরোধী অভিযানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। এর মধ্যে কয়েকদিন আগে শেওড়াপাড়ায় একটি জঙ্গি আস্তানার সন্ধান মেলার পর মঙ্গলবার প্রথম প্রহরে কল্যাণপুরে অভিযানে যায় পুলিশ।কল্যাণপুরের ৫ নম্বর সড়কের গার্লস হাই স্কুলের পাশে তাজ মঞ্জিল নামের ছয় তলা ওই ভবনে অভিযান চালায় পুলিশ, যার নাম পুলিশ দিয়েছে ‘অপারেশন স্টর্ম টোয়েন্টি সিক্স’।‘জাহাজ বিল্ডিং’ নামে স্থানীয়ভাবে পরিচিত ওই ভবনের বেশিরভাগ ফ্ল্যাট মেস হিসেবে ভাড়া দেওয়া। ভবনের পঞ্চম তলায় জঙ্গিরা আস্তানা গেঁড়েছিল বলে পুলিশের তথ্য।  

রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঘিরে ফেলার পর ভোরে সোয়াটের নেতৃত্বে এক ঘণ্টার অভিযানের পর ওই ফ্ল্যাটের বাসিন্দা নয়জন নিহত হওয়ার কথা জানায় পুলিশ।

নিহতদের নাম-পরিচয় কিছুই জানা যায়নি। তারা গত জুন মাসের শেষ দিকে ওই বাড়িটির পঞ্চম তলার ফ্ল্যাটটি ভাড়া নিয়েছিল বলে বাড়ির মালিক পুলিশকে জানিয়েছেন।  ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, নিহতদের বয়স ২০ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে। তাদের কথাবার্তা শুনে এবং চেহারা ও বেশভূষা দেখে উচ্চশিক্ষিত বলে মনে হয়েছে।

“তাদের ওখানে দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতটি পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে। সেগুলো আসল কি না, যাচাই করে দেখা হচ্ছে।”

লাশগুলো বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রয়েছে। বুধবার সকালে তাদের ময়নাতদন্ত হবে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

অভিযান শুরুর পরপরই ওই ভবন থেকে রাকিবুল হাসান নামে একজন লাফিয়ে পড়েন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আটক করে তাকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করেছে পুলিশ।

বগুড়ার বাসিন্দা হাসান এক বছর আগে থেকে নিখোঁজ। তার সন্ধান চেয়ে থানায় জিডিও করেছিলেন তার মা।  

হাসান দাবি করেছেন, ওই মেসে বাবুর্চ্চির কাজ করতেন তিনি। তবে সিরিয়া যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল বলে স্বীকার করেন তিনি।