নির্ধারিত সময়ের দুদিন পর মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১২টা থেকে গুলশান ১ নম্বরে উচ্ছেদে যায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ভ্রাম্যমাণ আদালত।
টানা পাঁচ ঘণ্টার অভিযানে চারটি ভবনের পাঁচটি রেস্তোরাঁ ও ফাস্ট ফুডের দোকান, একটি বিউটি পার্লার ও একটি ভ্রমণ বিষয়ক প্রতিষ্ঠানসহ দুটি প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় সিলগালা করে দেওয়া হয়।
গুলশান ১ নম্বরের ১ নম্বর সড়কে তিন তলা ভবন এসডব্লিউএস কোরের নিচতলায় ছিল ‘ইস্টার ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান ও মল্লিক স্ন্যাকস নামের একটি ফাস্টফুডের দোকান। ভবনের দ্বিতীয় তলায় ‘ফুড প্যালেস’ নামে একটি রেস্তোরাঁও চলছিল।
ওই ভবনের পাশে ২ নম্বর সড়কে অননুমোদিত পাঁচতলা আরেকটি ভবনের নিচতলায় ফাস্ট ফুডের দোকান সিএফসি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। ভবনের দোতলায় একটি বিউটি পারলার সিলগালা করে দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। বন্ধ করে দেওয়া বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোও গুলশান-১ নম্বরে আশপাশের এলাকার।
গত ১ জুলাই গুলশান-২ নম্বরের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় ১৭ বিদেশিসহ ২০ জিম্মি নিহতের পর আবাসিক এলাকায় অননুমোদিত সব ধরনের প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
পরে গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকা ঘুরে এ ধরনের ৫৫২টি প্রতিষ্ঠানের তালিকা করেন রাজউক কর্মকর্তারা।
তালিকায় ৩৪২টি রেস্তোরাঁ, ৬২টি আবাসিক হোটেল ও গেস্ট হাউজ, ১৬টি বার, ৫৬টি স্কুল, ৩টি কলেজ, ২৩টি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ৫০টি হাসপাতাল ও মেডিকেল সেন্টার রয়েছে।
এদিকে গুলশানে ১ এর তিনতলা ভবন এসডব্লিউএস কোরের মালিক ভিকারুননিসা দিনা বলছেন,তার ভবন থেকে ওই সব স্থাপনা সরিয়ে নিতে রাজউক থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল।
“অক্টোবর পর্যন্ত আমাদের সময় দেওয়া ছিল। এর আগেই আকস্মিক অভিযানের কারণে আমাদের ব্যাপক ক্ষতি হল।”
তবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব দেওয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার ওয়ালিউর রহমান বলেন, রাজউক যে নোটিশ দিয়েছিল,তা নিয়মিত কাজের অংশ।
“ভ্রাম্যমাণ আদালত এই অভিযান পরিচালনা করছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের কোনো ধরনের নোটিশ প্রয়োজন হয় না।”