সোমবার গভীর রাতে কল্যাণপুরের ৫ নম্বর সড়কের গার্লস হাই স্কুলের পাশে ‘জাহাজ বিল্ডিং’ নামে পরিচিত ছয় তলা ওই ভবনে অভিযান চালায় পুলিশ, র্াবয ও বিশেষ বাহিনী সোয়াট।
ভোরের দিকে সোয়াটের এ ঘণ্টার অভিযানে গোলাগুলির মধ্যে ভবনটির পঞ্চম তলায় নয়জন নিহত হন।
মিরপুর থানার ওসি ভূইয়া মাহবুব হোসেন জানান, রাত সাড়ে ১২টার দিকে জঙ্গিবিরোধী ওই অভিযানের শুরুতে পুলিশ চারদিক থেকে ঘেরাও করে ওই ভবনে ঢোকার চেষ্টা করলে পঞ্চম তলার আস্তানা থেকে কয়েকজন জঙ্গি ‘আল্লাহু আকবার’ ধ্বনি দিয়ে গুলি ছুড়তে শুরু করে।
এ সময় পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলির মধ্যে এক জঙ্গি আহত হয়। হাসান নামে ওই তরুণকে পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ঢাকা মেডিকেলের নিবন্ধন খাতায় হাসানের বাবার নাম লেখা হয়েছে রেজাউল করিম। বাড়ি বগুড়ার জামিল নগরে। তার পায়ে গুলি, মাথায় জখমের চিহ্ন থাকার কথা নিবন্ধন খাতায় লেখা রয়েছে।
ভোরে জঙ্গিদের ধরতে ‘অপারেশন স্টর্ম টোয়েন্টি সিক্স’ নামে বিশেষ অভিযান চালান সোয়াট সদস্যরা। নিহতদের মধ্যে সাতজনের লাশ পাওয়া যায় পঞ্চম তলার করিডোরে, দুজনের লাশ ছিল দুটি কক্ষে।
সকালে আইজিপি শহীদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, গুলশানে ‘জেএমবির যে গ্রুপ’ হামলা চালিয়েছিল, এরা সে গ্রুপেরই সদস্য বলে ধারণা করছেন তারা।