তার মেয়ে কবি ও সাংবাদিক শান্তা মারিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুরে তার বাবাকে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
“তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। তার লাইফ সাপোর্টের প্রয়োজন হতে পারে বলে আজ (শুক্রবার) সকালে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।”
৮৯ বছর বয়েসী তকীয়ূল্লাহ ভাষাবিদ ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর চতুর্থ ছেলে।
বর্তমানে বাংলাদেশ যে বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুসরণ করে, তার সংস্কার হয়েছিল তকীয়ূল্লাহর হাত দিয়েই।
১৯৪৮ সালের ভাষা আন্দোলনের যেসব ছবি এখন পাওয়া যায়, সেগুলো তারই তোলা। ১৯৫১ থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে কারাগারে কাটাতে হয় সে সময়ের এই বাম নেতাকে।
চল্লিশের দশক থেকে দীর্ঘদিন কমিউনিস্ট আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন এজেএম তকীয়ূল্লাহ
। তিনি ১৯৫১ সালে কমিউনিস্ট পার্টির ঢাকা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
চিত্রশিল্পী মুর্তজা বশীর তার ছোট ভাই। আর তার ভাতিজি গীতিআরা সাফিয়া চৌধুরী ছিলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারেরে উপদেষ্টা।
এজেএম তকীয়ূল্লাহর ছেলে আহমেদ ইউসুফ আব্বাস অগ্রণী ব্যাংকের একজন এজিএম। আর মেয়ে শান্তা মারিয়া দৈনিক আমাদের সময়ের ফিচার সম্পাদক।