গুলশান বনানী বারিধারায় ৫৫২ প্রতিষ্ঠান অবৈধ

গুলশানসহ ঢাকার উত্তরের অভিজাত আবাসিক এলাকাগুলোতে অনুমোদন ছাড়া গড়ে ওঠা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো চিহ্নিত করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 July 2016, 09:25 AM
Updated : 17 July 2016, 09:51 AM

এগুলোর মধ্যে রেস্তোরাঁ, হোটেল, স্কুল-কলেজ ও হাসপাতালও রয়েছে বলে রাউজকের চেয়ারম্যান এম বজলুল করিম চৌধুরী জানিয়েছেন।

রোববার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আমরা একটি তালিকা চুড়ান্ত করেছি। এ তালিকায় রেস্তরাঁ, স্কুল-কলেজ, হাসপাতালসহ ৫৫২টি প্রতিষ্ঠানকে অবৈধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

“মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে জমা দেওয়ার পর এসব প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে করণীয় ঠিক করা হবে।”

এর আগে বৃহস্পতিবার গুলশান, বনানী ও বারিধারার আবাসিক এলাকার অবৈধ হোটেল-রেস্তোরাঁ উচ্ছেদে শিগগিরই অভিযান শুরু হবে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।

দুই সপ্তাহ আগে গুলশানের এক রেস্তোরাঁয় নজিরবিহীন জঙ্গি হামলার পর অভিজাত এসব এলাকার অননুমোদিত স্কুল-কলেজ, হোটেল-রেস্তোরাঁ ও হাসপাতাল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

তবে স্কুল-কলেজ ও হাসপাতালগুলো সরিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তিন মাস সময় দেওয়া হবে বলে সেদিন বলেছিলেন গণপূর্তমন্ত্রী।

“আমরা তাদের তিন মাসের নোটিস দেব। এর মধ্যে অননুমোদিত প্রতিষ্ঠানগুলো সরিয়ে নিতে হবে।

স্কুল-কলেজ ও হাসপাতালগুলোকে প্রয়োজনে রাজউকের উত্তরা ও পূর্বাচল প্রকল্পে সরিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে তার জন্য জমি দেওয়ার বিষয়টি মন্ত্রণালয় বিবেচনা করবে বলে জানান মোশাররফ।

রোববারই গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে এসব স্থাপনা সরানোর বিষয়ে সুনির্দিষ্ট ও বিস্তারিত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথাও হবে জানিয়েছিলেন তিনি।

১ ও ২ জুলাই হলি আর্টিজানে হামলার ঘটনায় ১৭ বিদেশিসহ অন্তত ২২ জন নিহত হওয়ার ঘটনার পর ঈদের ছুটি শেষে প্রথম কর্মদিবসে রোববার সচিবালয়ে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে গুলশান ও আশপাশের এলাকায় অননুমোদিত এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়।

এর আগে ৪ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরের আবাসিক প্লট ও ভবন থেকে সব ধরনের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সরাতে ছয় মাস সময় বেঁধে দেওয়া হয়।