নর্থ সাউথের উপ-উপাচার্যসহ চারজনকে রিমান্ডে চায় ‍পুলিশ

গুলশানের ক্যাফেতে হামলাকারীদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে নর্থ সাউথের উপ-উপাচার্যসহ গ্রেপ্তার চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিন করে রিমান্ডে চেয়েছে ‍পুলিশ।

নিজস্ব প্রতিবেদকও আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 July 2016, 08:42 AM
Updated : 17 July 2016, 10:09 AM

পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ কমিশনার সাইফুল ইসলাম রোববার দুপুরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ওই চারজনক আদালতে হাজির করে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেছেন তারা।

জিজ্ঞাসাবাদ করতে তাদের ১০ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ও ট্রান্স ন্যাশনাল ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবির।”

মহানগর হাকিম তসরুজ্জামানের আদালতে এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে বলে আদালত পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা রণপ কুমার ভক্ত জানান।

শনিবার বিকালে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি ভবন থেকে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপ-উপাচার্য গিয়াস উদ্দিন আহসানসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর রাতে ঢাকার পশ্চিম শেওড়াপাড়ায় আরেক বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আরেকজনকে। 

গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার আগে পাঁচ জঙ্গি বসুন্ধরা ও শেওড়াপাড়ার ওই দুই বাসায় আশ্রয় পেয়েছিলেন বলে পুলিশের ভাষ্য।

গ্রেপ্তার অন্য তিনজন হলেন- গিয়াস উদ্দিনের ভাগনে আলম চৌধুরী এবং বসুন্ধরার ওই ভবনের ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান তুহিন ও শেওড়াপাড়ার ওই বাসার মালিক নুরুল ইসলাম।

ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মাসুদুর রহমান শনিবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ৬ নম্বর সড়কের ব্লক ই-এর ৩ নম্বর হোল্ডিংয়ের এ/৬ নম্বর ফ্ল্যাটে বালুভর্তি কার্টন এবং  জঙ্গিদের কাপড়সহ বিভিন্ন মালামাল পাওয়া গেছে।

“সেখানে গুলশানে হামলাকারীরা মিলিত হয়েছিলেন। আর বালুভর্তি এসব কার্টনে হামলায় ব্যবহৃত গ্রেনেড রাখা হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।”

৪৪১/৮ পশ্চিম শেওড়াপাড়ার বাসাতেও ‘জঙ্গিদের ব্যবহৃত হাতে তৈরি গ্রেনেড, কালো রঙের পোশাক’ পাওয়া গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, “ভাড়াটিয়াদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ না করা এবং তথ্য গোপন করার অভিযোগে বাড়ির মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”

গত ১ জুলাই রাতে গুলশান ২ নম্বরের হলি আর্টিজান বেকারিতে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে দেশি-বিদেশি অন্তত ৩৩ জনকে জিম্মি করে একদল অস্ত্রধারী। পরদিন সকালে কমান্ডো অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনী ওই ক্যাফের নিয়ন্ত্রণ নেয়।

পরে সেখান থেকে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। অভিযানে নিহত হন পাঁচ হামলাকারী।

এর আগে রাতে পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে জঙ্গিদের ছোড়া বোমায় পুলিশের দুই কর্মকর্তা নিহত হন।