রেস্তোরাঁ উচ্ছেদ শিগগির, স্কুল-কলেজ ও হাসপাতালকে ৩ মাস

রাজধানীর গুলশান, বনানী ও বারিধারার আবাসিক এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা হোটেল-রেস্তোরাঁ উচ্ছেদে শিগগিরই অভিযান শুরু হবে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।

ওবায়দুর মাসুমবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 July 2016, 05:40 AM
Updated : 15 July 2016, 06:20 AM

দুই সপ্তাহ আগে গুলশানের এক রেস্তোরাঁয় নজিরবিহীন জঙ্গি হামলার পর অভিজাত এসব এলাকার অননুমোদিত স্কুল-কলেজ, হোটেল-রেস্তোরাঁ ও হাসপাতাল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

তবে স্কুল-কলেজ ও হাসপাতালগুলো সরিয়ে নিতে কর্তৃপক্ষকে তিন মাস সময় দেওয়া হবে বলে বৃহস্পতিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান গণপূর্তমন্ত্রী।

“আমরা তাদের তিন মাসের নোটিস দেব। এর মধ্যে অননুমোদিত প্রতিষ্ঠানগুলো সরিয়ে নিতে হবে।

স্কুল-কলেজ ও হাসপাতালগুলোকে প্রয়োজনে রাজউকের উত্তরা ও পূর্বাচল প্রকল্পে সরিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে তার জন্য জমি দেওয়ার বিষয়টি মন্ত্রণালয় বিবেচনা করবে বলে জানান মোশাররফ।

“স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল করেছে ব্যবসার জন্য। তারা ব্যবসা করে লাভ করছে, প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের মতো করে সরিয়ে নিক। তবে রাউজকের প্রকল্পের কিছু খালি প্লটের জন্য আবেদন করলে আমরা বিবেচনা করব।”

রোববার গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে এসব স্থাপনা সরানোর বিষয়ে সুনির্দিষ্ট ও বিস্তারিত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “তবে অভিযান খুব শিগগির শুরু হবে। আবাসিক এলাকা থেকে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সরাতেই হবে। এক্ষেত্রে কাউকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।”

গুলশানের একটি ঘোষিত বাণিজ্যিক এলাকার বাইরে আর কোথাও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে দেওয়া হবে না বলে জোর দিয়ে বলেন গণপূর্তমন্ত্রী।

এর মধ্যেই গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকার বিভিন্ন আবাসিক ভবনে গড়ে ওঠা অননুমোদিত হোটেল-রেস্তোরাঁ ও অন্যান্য বাণিজিক প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে, যা রোববার গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে জমা দেওয়া হবে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য আবদুর রহমান জানিয়েছেন।

রাজউকের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের এই সদস্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সব প্রতিষ্ঠানই এর আওতায় আছে। তবে আমরা হোটেল-রেস্তোরাঁকে প্রায়োরিটি দিচ্ছি। এগুলো দিয়েই শুরু করব।”

১ ও ২ জুলাই হলি আর্টিজানে হামলার ঘটনায় ১৭ বিদেশিসহ অন্তত ২২ জন নিহত হওয়ার ঘটনার পর ঈদের ছুটি শেষে প্রথম কর্মদিবসে রোববার সচিবালয়ে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে গুলশান ও আশপাশের এলাকায় অননুমোদিত এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়।

এর আগে ৪ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরের আবাসিক প্লট ও ভবন থেকে সব ধরনের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সরাতে ছয় মাস সময় বেঁধে দেওয়া হয়।