এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশে দুই দফা বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষাপটে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ‘বিশেষ’ বৈঠকে বসেছে সরকারের আইন-শৃঙ্খলা সম্পর্কিত মন্ত্রিসভা কমিটি।
Published : 10 Jul 2016, 12:59 PM
রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে শুরু হওয়া এ বৈঠকে ১২টি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা উপস্থিত রয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
শিল্প মন্ত্রী আমির হোসনে আমুর সভাপতিত্বে এ বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি উপস্থিত রয়েছেন।
এছাড়া পুলিশ মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক, ঢাকার পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াসহ বিভিন্ন বাহিনী ও সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নিচ্ছেন এ বৈঠকে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মন্ত্রিসভা কমিটির এই বৈঠকটি নিয়মিত বৈঠক নয়।
“দেশের বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এই বিশেষ বৈঠক হচ্ছে,” বলেন ওই কর্মকর্তা।
গত ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে দেশের ইতিহাসে ভয়াবহতম জঙ্গি হামলা হয়; সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হন দেশি-বিদেশি ২০ নাগরিক। হামলাকারীদের ঠেকাতে গিয়ে দুই পুলিশ ও পরে কমান্ডো অভিযনে ছয় সন্দেহভাজন হামলাকারী নিহত হন।
এরপর ৭ জুলাই ঈদের সকালে শোলাকিয়ায় দেশের সবচেয়ে বড় ঈদ জামাতের মাঠের কাছে আবারও হামলা হয়। সন্ত্রাসীদের বোমা হামলা ও পরে পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে নিহত হন দুই পুলিশসহ মোট চারজন।
আইএস গুলশান হামলার দায় স্বীকারের পর হামলাকারীদের ছবি প্রকাশ করেছে বলে সাইট ইনটেলিজেন্স গ্রুপ খবর দিলেও বাংলাদেশের পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, দুই ঘটনার পেছনেই রয়েছে জেএমবি।
আর ঢাকার পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, তদন্তের ক্ষেত্রে তার বাহিনীর কর্মীদের যোগ্যতা ও দক্ষতার অভাব নেই। তবে কারিগরি কিছু বিষয়ে সিঙ্গাপুর, ভারত বা যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা তারা নিতে পারেন।