তার নিখোঁজের বিষয়ে ঈদের আগের দিন পরিবারের পক্ষ থেকে রাজধানীর ভাটারা থানায় একটি জিডি করা হয় বলে ওই থানার ওসি নুরুল মোত্তাকিন জানান।
তিনি শুক্রবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত ৬ জুলাই আবীরের বাবা সিরাজুল ইসলাম ছেলে নিখোঁজের বিষয়ে থানায় জিডি করেন। গত ১ মার্চ থেকে আবীর নিখোঁজ বলে জানান তিনি।
এতদিন পরে জিডি করার কারণ জিজ্ঞেস করেছিলেন বলে জানান ওসি।
“জবাবে সিরাজুল ইসলাম বলেন, বিদেশে যাওয়া নিয়ে রাগ করে ছেলে বাসা থেকে বেরিয়েছিল। ও মালয়েশিয়ায় যেতে চেয়েছিল, আমি বলেছিলাম দুই ভাই অস্ট্রেলিয়ায় থাকে সেখানে যাও। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির পর বাসা থেকে বেরিয়ে যায়।
“ভেবেছিলাম, মালয়েশিয়ায় গেছে নিজেই ফিরে আসবে। কিন্তু গুলশানে হামলার পর মনে সন্দেহ হওয়ায় থানায় এসেছি।”
২২ বছর বয়সী আবীর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএর শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। গত ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান ক্যাফেতে হামলাকারীদের একজন নিবরাজ ইসলামও ঢাকার এই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। তিনিও কয়েক মাস ধরে নিখোঁজ ছিলেন।
আর্টিজানে হামলায় ১৭ বিদেশিসহ অন্তত ২২ জন নিহতের পর হামলাকারীদের পরিচয় এবং তাদের নিখোঁজ থাকার বিষয়টি প্রকাশের পর সরকারের পক্ষ থেকে নিখোঁজ সন্তানের তথ্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানাতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে ঈদ জামাতের আগে শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে যখন মুসল্লিরা সমবেত হচ্ছিলেন, এমন সময় এক প্রবেশ পথে মাঠের কাছের একটি স্কুলের ফটকে পুলিশি তল্লাশি চৌকিতে হামলা হয়।
অস্ত্রধারীদের হামলায় দুই পুলিশ নিহত হন। পরে পুলিশের অভিযানে নিহত হন এক ‘হামলাকারী’। এর মধ্যে গুলিতে স্থানীয় এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়।
নিহত ওই যুবকের ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর আবীরের বড় ভাই আশিকুর রহমান তাকে শনাক্ত করেন বলে পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি এসএম মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান জানিয়েছেন।
ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ডি ব্লকে আবীরদের বাসা। তাদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার দেবিদ্বারে।